সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২০ আগস্ট || নেশা সামগ্রী পাচার বন্ধের চেষ্টা করায় নেশা সামগ্রী পাচারকারীদের আত্ম সহায়ক এক পুলিশ কর্তৃক বাঁধার মুখে সাংবাদিক। নেশামুক্ত ত্রিপুরার স্বপ্ন’কে ধুলিস্যাৎ করে দিচ্ছে মাদক পাচারকারীদের আত্ম সহায়ক রাজ্যের একাংশ পুলিশকর্মীরা। আবারও এরকমই এক খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া জি.আর.পি থানার এক পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর সুনীল চরণ দাসের বাঁধার সম্মুখীন হয় সাংবাদিকরা। পরবর্তীতে নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ্যে আসার ভয়ে রেলস্টেশন চত্বর ছেড়ে তরিঘড়ি পালিয়ে যায় ওই পুলিশ অফিসার।
ঘটনা, শনিবার সন্ধ্যা রাতে ত্রিশাবাড়ীস্থিত তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশনে। ঘটনায় রাতেই সাংবাদিকদের তরফ থেকে জি.আর.পি থানার আই.সি ইন্টু মারাকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
অতীতের বহু মাদক আটকের নিরিখে এইটুকু তো বলাই যায় যে বেশ কয়েক বছর ধরে তেলিয়ামুড়া রেল স্টেশন গোটা রাজ্যের মধ্যে গাঁজা পাচারের করিডোর হিসাবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। অবশ্যই এতে ইন্ধন রয়েছে তেলিয়ামুড়া জি.আর.পি থানার একাংশ পুলিশকর্তাদের। কারণ, জি.আর.পি পুলিশের বিশেষ সহযোগিতা ছাড়া পাচারকারীরা কোনভাবেই নিজেদের পাচার বাণিজ্য চালাতে পারবেনা।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র মারফত তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে যে, শনিবার সন্ধ্যা রাতে জি.আর.পি পুলিশের সহযোগিতায় তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজা তোলা হবে রেলে। সে খবর পাওয়া মাত্রই তেলিয়ামুড়ার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে রেল স্টেশনের ছুটে যায়। তেলিয়ামুড়া রেল স্টেশনে সন্দেহভাজন গাঁজা পাচারকারীদের ব্যাগ তল্লাশি করার কথা বলতেই, পাচারকারীদের একপ্রকার ইন্ধনের ইঙ্গিত দিয়ে সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক’কে কর্তব্য পালনে বাঁধা সৃষ্টি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তেলিয়ামুড়া জি.আর.পি থানার গুণধর ঐ পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর সুনীল চরণ দাস। জি.আর.পি পুলিশের সূত্র মারফত জানা যায়, সাব ইন্সপেক্টর সুনীল চরণ দাস প্রায় মাস দেড়েক পূর্বে তেলিয়ামুড়া জি.আর.পি থানায় অন্যত্র থেকে বদলি হয়ে আসে এবং সেখানে এসেই মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের পাঁচারের জাল বিস্তার করে ফেলে গোটা তেলিয়ামুড়া রেল স্টেশন সহ স্টেশন চত্বর নিয়ে।
কিন্তু, শনিবার সন্ধ্যা রাতে উনার এই পাঁচারের জাল ভেদ করার জন্য যখন তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিকরা ময়দানে নামে সেই সময় নিজের আসল চেহারা প্রকাশ্যে চলে আসার ভয়ে সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিকের কর্তব্য পালনে বাঁধা দিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই মাদক পাচারকারীদের আত্ম সহায়ক পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর সুনীল চরণ দাস। যদিও পরবর্তীতে নিজের আসল চেহারা প্রকাশ্যে আসার ভয়ে স্টেশন চত্বর থেকে পালিয়ে যায় এই সাব ইন্সপেক্টর।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়ার সকল সাংবাদিকরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় এবং তেলিয়ামুড়া জি.আর.পি থানায় সাংবাদিকরা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ওই জি.আর.পি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের নিকট গোটা ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে অতিদ্রুত সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে মাদক পাচারকারীদের আত্ম সহায়ক পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর সুনীল চরণ দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানায়। যদি সাময়িক সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সঠিক তদন্তক্রমে সাব ইন্সপেক্টর সুনীল চরণ দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে সাংবাদিকদের তরফ থেকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে তেলিয়ামুড়া জি.আর.পি থানায় ধর্নায় বসা হবে বলে সাংবাদিকদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।