সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৪ আগস্ট || গন্ডাছড়ায় থামছে না বৃষ্টি, কমছে না জল। শিবির গুলিতে চলছে অব্যবস্থা। শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কচিকাচাদের মিলছেনা সকালের খাবার। শিবিরবাসীদের সারাদিনে দেওয়া হচ্ছে একবেলা খারার। গন্ডাছড়া মহকুমার ২১টি ত্রাণ শিবিরের মধ্যে বেশিরভাগ শিবিরেই আলোর ব্যবস্থা নেই। তাছাড়াও গৃহ পালিত গবাদী পশুদের নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন গৃহস্থরা। অপর দিকে গোটা গন্ডাছড়া মহকুমায় কৃষকদের কপালে সর্বনাশ ডেকে এনেছে চলমান ঝড় বৃষ্টি। এরমধ্যেই শনিবার গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন বিজেপি দলের ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা এবং রাজ্য নেতৃত্ব স্বতীরানী সানোয়াল চাকমা।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ডুম্বুর জলাশয়ের জল ধীরে ধীরে ফুলতে থাকে। দিনের পর দিন অত্যধিক বৃষ্টির ফলে গন্ডাছড়া মহকুমার রতননগর এলাকা, কৃষ্ণচন্দ্রপাড়া, হাতিরমাথা, তুইচাকমা, চন্দ্রকিশোর পাড়া, ষাটকার্ড, লক্ষীপুর, কৃষ্ণপুর ছত্রিশকার্ড এবং দুর্গাপুরের কিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে গন্ডাছড়ায় পরপর ২১টি ত্রাণ শিবির খুলতে বাধ্য হয় মহকুমা প্রশাসন। ২১টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় জাতিজনজাতি অংশের দেড় হাজার লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। প্রবল বর্ষণে ঘরবাড়ি, ক্ষেত জমি ফসল ফেলে সর্বহারা হয়ে লোকজনরা আশ্রয় নিয়েছেন শিবিরে। বিশেষ করে গবাদী পশুদের নিয়ে সমস্যায় রয়েছে গৃহস্থরা। তাছাড়াও বেশিরভাগ ত্রাণ শিবির গুলিতে নাকি চলছে অব্যবস্থা। অভিযোগ দিনেতে একবার শিবিরবাসীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাও নুন ভাত আর নিরামিষ দিয়ে। সকালে শিবিরে থাকা কচিকাচা সহ কাউকেই কোন জলখাবার দেওয়া হচ্ছে না। বেশ কয়েকটি শিবিরে আলোর কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে রাতে অন্ধকারেই কাটাতে হচ্ছে শিবিরবাসীদের।
এরমধ্যে শনিবার বিজেপি দলের ধলাই জেলার সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা এবং রাজ্য মহিলা নেত্রী স্বতীরানী সানোয়াল চাকমা মহকুমার বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। কথা বলে শিবিরবাসীদের সুখ দুঃখের কথা শুনেন। শিবিরের যাবতীয় বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তখন শিবিরবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে শিবিরের সমস্যার কথা গুলি তুলে ধরেন।