ডুম্বুর জলাশয় লাগোয়া নাক্কাছড়া এডিসি ভিলেজ এখনো বন্যায় জলের নিচে, দিব্যাঙ্গণ হয়েও ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে পঞ্চায়েত সচিব

সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৮ আগস্ট || প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় গন্ডাছড়া মহকুমায় যে কয়টি ভিলেজ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এর মধ্যে একটি নাক্কাছড়া এডিসি ভিলেজ। এটি ডুম্বুর জলাশয় লাগোয়া। যার ফলে বৃষ্টির কিছু সময়ের মধ্যেই বন্যায় বহু পরিবারের বাড়িঘর, কৃষি জমি, পুকুর  সম্পন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তরা ভিলেজ এলাকার বিশ্বকর্মা পাড়া অঙ্গনওয়ারী সেন্টার, প্রভুরাম পাড়া অঙ্গনওয়ারী সেন্টার, কিনা মোহন পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং যাত্রা ধন পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের চারটি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৩১১ জন আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্তও  ভিলেজ এলাকার প্রচুর বাড়ি ঘর জলের নিচে ডুবে আছে। নাক্কাছড়া এডিসি ভিলেজের পঞ্চায়েত সচিব ব্রজলাল সরকার দিব্যাঙ্গণ হয়েও কখনো নৌকায় করে, আবার কখনো কোমর জল বেরিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সার্ভে করছেন। ডুম্বুর জলাশয় লাগোয়া হওয়ার কারণে নাক্কাছড়া ভিলেজ থেকে বন্যার জল সরাতে আরও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে এমনটাই ধারণা এলাকাবাসীর। তবে এডিসি ভিলেজের পঞ্চায়েত সচিব একজন দিব্যাঙ্গণ হয়েও এই করুন সময়ে যেভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন সত্যি এলাকার সাধারণ মানুষ উনার প্রশংসা করে যাচ্ছেন।
ভিলেজ’বাসীরা মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এলাকায় পানীয় জলের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো পানীয় জলের পাম্প মেশিনগুলি জলের তলায়। যার ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে পানীয় জল সরবরাহ। তাছাড়া বিদ্যুৎ এর লাইন জলের সংস্পর্শে থাকায় গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কবে নাগাদ সবকিছু স্বাভাবিক হবে তাহা বলা মুশকিল। তবে পঞ্চায়েত সেক্রেটারি সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবকিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আনতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*