আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৭ সেপ্টেম্বর || বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ শিবির এবং দুষ্কৃত্বকারীদের পরিকল্পিত আগুনে ভশ্মীভূত বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে শনিবার গন্ডাছড়া সফরে এলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির এক প্রতিনিধি দল। শনিবার দুপুর নাগাদ এই প্রতিনিধি দলটি গন্ডাছড়া পৌঁছেই ছুটে যান গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে আশ্রিত শরণার্থী শিবিরে। উক্ত শিবিরে আশ্রিত রয়েছে ১৭৩ পরিবারের ৪৪৬ জন শরণার্থী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত ত্রিশকার্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত আনন্দ মেলায় আনন্দ নিতে গিয়ে এক জনজাতি যুবক গণ পিটুনিতে গুরতর আহত হয়ে ১২ জুলাই জিবি হাসপাতালে নিহত হয়। এই জনজাতি যুবকের অনাকাঙ্কিত মৃত্যুকে ঢাল করে ১২ই জুলাই রাতে একযোগে একাংশ দুষ্কৃত্বকারীর দল গন্ডাছড়া মহকুমার হরিপুর, সাতকার্ড, ছয়কার্ড, কুড়িকার্ড, ত্রিশকার্ড, নারায়ণপুর, মনোরঞ্জনদাসপাড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামে অগ্নি সংয়োগ, লুটপাট চালিয়ে সর্বস্য হাতিয়ে নেয়। ১৩ই জুলাই থেকে গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেয় সর্বহারা ১৭৩টি পরিবারের ৪৪৬ জন শরণার্থী। এইদিন থেকে আজো তারা শরণার্থী হিসাবেই রয়েছেন।
শনিবার সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির প্রতিনিধিরা উক্ত শিবিরে গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। আলোচনাকালে প্রতিনিধিরা শরণার্থীদের বলেন, আমরা সন্ত্রাস চাই না, আমরা জাতি বিদ্বেষ চাই না, আমরা ধর্মীয় সুড়সুড়িতে বিশ্বাস করি না। আমরা সর্বদাই সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন নেতৃ রমা দাস, নেতৃ কৃষ্ণা রক্ষিত নেতৃ রমণী দেব্বর্মা এবং সপ্না দত্ত। গন্ডাছড়া মহকুমা স্তরের নেতৃত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্চনা দাস ও দশরানী ত্রিপুরা। শিবিরে আশ্রিত ৪৪৬ জনের মধ্যে নয়া বস্ত্র তুলে দেন প্রতিনিধিরা। চরম বিপদে প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বহু শরণার্থীরা।