আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ সেপ্টেম্বর || বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ত্রিপুরা EIACP হাব, ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তত্ত্বাবধানে একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করে যার মূলভাবনা হচ্ছে “মন্ট্রিল প্রোটোকল: এডভানসিং ক্লাইমেট অ্যাকশান”। এদিন উক্ত অনুষ্ঠানে আগরতলা শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব তথা ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃ কে শশীকুমার, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অধিকর্তা মহেন্দার সিং, ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব ডঃ বিশু কর্মকার, সহকারী পরিবেশ প্রকৌশলী অপরাজিতা দাস এবং আগরতলাস্থিত ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজির রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা মিতালী সাহা।
এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব ডঃ বিশু কর্মকার তার উদ্বোধনী ভাষণে সকল অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান। তিনি পৃথিবীর জীবকূলের বেঁচে থাকার জন্য ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। তিনি ওজোন দিবস পালনের প্রেক্ষাপটও নিজ ভাষণে তুলে ধরেন।
প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব তথা ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃ কে শশীকুমার উনার বক্তব্যে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবজগৎকে রক্ষা করার জন্য ওজোন স্তরের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন এবং শিক্ষার্থীদের মন্ট্রিয়াল প্রোটোকল সম্পর্কেও অবহিত করেন।
এছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অধিকর্তা শ্রী মহেন্দার সিং উনার বক্তব্যে ওজন স্তর রক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা সম্বন্ধে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের মূলবক্তা ছিলেন ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজির রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা মিতালী সাহা। তিনি ওজোন স্তরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করেন। তিনি ওজোনস্তর হ্রাসের কারণ এবং তার ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বান্ধব অভ্যাস, যেমন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার, ওজোন ডিপ্লেটিং সাবস্টেন্স ব্যবহৃত হয় এমন যন্ত্রপাতি সীমিত ব্যবহার, গাছ লাগানো ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ওজোন স্তর রক্ষার জন্য উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ভাষণ রাখতে গিয়ে অপরাজিতা দাস মিশন লাইফ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আলোকপাত করেন। তাছাড়া ওজোনস্তর সুরক্ষায় এবং সেইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষার্থে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকাগুলি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য তিনি সকল অতিথিবর্গ এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর বিশ্ব ওজোন দিবস উদযাপন করতে এবং ওজোন স্তর সুরক্ষায় অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে। সবার শেষে মিশন লাইফের উপর একটি শপথ গ্রহণ করা হয়।