গোপাল সিং, খোয়াই, ১৩ সেপ্টেম্বর || সি পি আই (এম)’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলো খোয়াইয়েও। শেষ ভাদ্রের তীব্র দাবদাহ আর অসহনীয় দহনজ্বালা নিয়েও পথে নেমে এদিন সি পি আই ( এম)’র সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, দরদী ও সমর্থকেরা হাঁটলেন মৌন মিছিলে।আগামী সংগ্রামের বার্তা ছড়ালো অলি গলি রাজপথে। শোককে সাথে নিয়ে মৌন মিছিলে হাঁটলেন আর সুগভীর শ্রদ্ধা জানালেন প্রয়াত সংগ্রামী নেতাকে।
সি পি আই (এম)’র খোয়াই মহকুমা কার্য্যালয়ে স্বল্পকালীন নোটিশের প্রস্তুতিতেই এদিন বেলা এগারোটা থেকে পার্টির সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, দরদী ও সমর্থকেরা জড়ো হতে থাকেন। মহকুমা শহর, শহরতলী, দূর দূরান্তের গ্রামগঞ্জ সহ বিভিন্ন জনপদ থেকে তারা ছুটে আসেন পার্টি অফিসে প্রয়াত সংগ্রামী নেতাকে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাতে।শোকবিহ্বলতার মাঝেও অনেকেই সাথে করে নিয়ে আসেন ফুল।
বেলা বারোটায় পার্টির মহকুমা কার্য্যালয়ে শুরু হয় প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর নির্ধারিত কর্মসূচী। ফুলেল শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত সবাই।প্রথমেই কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান সি পি আই (এম)”র জেলা সম্পাদক ডঃ রঞ্জিত দেববর্মা। এরপর শ্রদ্ধা জানান পার্টির মহকুমা সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা। একে একে ফুলে ফুলে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সি পি আই (এম)’র রাজ্য কমিটির সদস্য নির্মল বিশ্বাস, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আলয় রায় ও সুখেন্দু বিকাশ দে, মহকুমা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নন্দলাল দেববর্মা, বিদ্যাচরণ দেববর্মা সহ পার্টির বিভিন্ন অঞ্চলের সম্পাদকগণ ও মহকুমা কমিটির সদস্যরা ও উপস্থিত সকলে। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন অতনু দত্ত। সবাই মৌনশ্রদ্বায় স্মরণ করেন প্রয়াত নেতাকে।
স্মরণাঞ্জলি কর্মসূচীর পর পার্টির মহকুমা কার্য্যালয় থেকে বের হয় মৌন মিছিল। একেবারে সামনে মূল ব্যানারের সাথেই মৌন মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন পার্টির জেলা ও মহকুমা স্তরের নেতৃবৃন্দ। ব্যানারে লেখা ছিল “তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি”। প্রয়াত নেতার ছবি আঁকা ব্যানারের আগে ধারাভাষ্য প্রদানকারী প্রচার গাড়ি।নেতৃবৃন্দের পেছনেই পার্টির অন্যান্য নেতা, কর্মী, দরদী ও সমর্থকেরা। প্রয়াত নেতার বয়সের প্রতীক হিসেবে ছিল ৭২টি অর্ধনমিত লাল পতাকা। এগুলো ছিল ৭২ জন পার্টিকর্মীর হাতে হাতে। সবার বুকে ছিল প্রয়াত নেতার ছবি। প্রচার গাড়িতে ধারাভাষ্য ছাড়াও মাঝে মাঝেই বাজছিল আন্তর্জাতিক।
মৌন মিছিল কবিগুরু পার্কের রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশ হয়ে একে একে বনকর, নতুন টাউন হল কমপ্লেক্স, জননেতা রঞ্জন রায় সেতু, ভগিনী নিবেদিতা পার্ক হয়ে জননেতা নৃপেন চক্রবর্তী অ্যাভেনিউ পরিক্রমা করে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্ক বাজার ও কোহিনূর শপিং কমপ্লেক্সের ওপর দিয়ে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ সরণী ঘুরে সি পি আই’র সুভাষপার্ক অঞ্চল কমিটির কার্য্যালয় এসে সমাপ্ত হয়।