সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১৯ সেপ্টেম্বর || খোদ থানার ওসি’কে নিজের এলাকায় কাজ করতে বাঁধা প্রদান করা হলো! শুধু বাধা প্রদান করা হলো বললে ভুল হবে প্রকৃত অর্থে আসাম রাইফেলস কর্তৃক তেলিয়ামুড়া থানার ওসি সাহেব’কে রীতিমতো অপমানিত করা হয়েছে। ওসি সাহেবের দোষ হচ্ছে তিনি জানতে চাইছিলেন কেন আসাম রাইফেলস ক্যাম্পের ভেতরে সন্দেহজনক ভাবে কিছু গাড়িকে আটক করা হয়েছে? কি রয়েছে ঐ সন্দেহজনক গাড়িগুলির মধ্যে? ওসি সাহেবের বক্তব্য হচ্ছে, যেহেতু রাঙ্গলপাড়া ক্যাম্প এলাকা তেলিয়ামুড়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন তাই উনার নৈতিক অধিকার রয়েছে বিষয়টা জানার, গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
কি হয়েছিল ঘটনা? কেনই বা বাঁধা দেওয়া হয়েছিল? কিভাবে বাঁধা প্রদান করা হয়েছিল ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে তেলিয়ামুড়া থানার ওসি সংবাদ মাধ্যম’কে খোলাখুলি জানান, উনি যখন উনার ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন তখন উনি দেখতে পান চাকমাঘাট এলাকা থেকে ১৮ চাকার একটা লরি সহ আরো বেশকয়েকটি গাড়ি’কে আসাম রাইফেলসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট সঞ্জীব কুমার রীতিমতো এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনা চাক্ষুষ করার পর স্বাভাবিকভাবেই ওসি সাহেব ঐ গাড়িগুলোর পিছু ধাওয়া করেন এবং একটা সময় গিয়ে দেখতে পান রাঙ্খলপাড়া’তে অবস্থিত আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে ঐ গাড়ি গুলোকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সেই সময় ওসি সাহেব যখন ক্যাম্পের ভেতরে গিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করতে চাইছিলেন তখন নাকি আসাম রাইফেলসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্টের নেতৃত্বে ওসি সাহেব’কে বাঁধা প্রদান করা হয় এবং ক্যাম্পের ভেতরে যেতে নিষেধ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওসি সাহেবের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, এখানে কিছু একটা গরমিল রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন বা কোন সেই কারণ যেই কারণে আসাম রাইফেল গাড়িগুলো’কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার পরেও পুলিশকে সেই বিষয়ে সম্পর্কে অবগত করতে চায়নি ?
সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুমান করা যাচ্ছে হয়তো’বা বিশাল পরিমাণের নেশা সামগ্রী সহ কোন একটা রফার উদ্দেশ্যে এই কাণ্ড করা হয়েছে। যদিও সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এবং আসাম রাইফেলসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।