‘সবুজ ত্রিপুরার জন্য সাশ্রয়ী ও টেকসই জীবনধারা’ বিষয়ের উপর রাজ্য-স্তরের মডেল প্রদর্শন

আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর || ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কতৃক রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে ‘সবুজ ত্রিপুরার জন্য সাশ্রয়ী ও টেকসই জীবনধারা’ বিষয়ের উপর রাজ্য-স্তরের মডেল প্রদর্শন এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠানটি ত্রিপুরার প্রতিটি জেলার থেকে প্রথম পাঁচটি অংশগ্রহণকারী দলকে নিয়ে প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করেছে।
এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে টেকসই জীবনযাপনের অনুশীলন এবং পরিবেশ সচেতনতার বৃদ্ধি করা। শীর্ষ তিনটি বিদ্যালয়কে ট্রফি ও নগদ ১০,০০০, ৭,০০০, ৫,০০০ টাকা যথাক্রমে পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়েছে। প্রথম স্থান অর্জন করেছে ডঃ বি আর আম্বেদকর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে পিত্রা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তৃতীয় হয়েছে তুলাশিখর রাজনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের তাদের প্রচেষ্টা এবং অবদানের জন্য শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব তথা ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃ কে. শশীকুমার। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অধিকর্তা মহেন্দর সিং এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা।
এদিন স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব তথা ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান, ডঃ কে. শশীকুমার ছাত্রছাত্রীদেরকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আশ্বে আহ্বান করেন। উনি পরিবেশ রক্ষায় ‘মিশন লাইফ’ এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মী, ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং অংশগ্রহণকারীদের এই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যে আমাদের তরুণ অংশগ্রহণকারীদের উদ্দীপনা এবং উদ্ভাবনা দেখতে সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক এবং এই ধরনের প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র মডেল প্রদর্শনের জন্য নয়; এটা আমাদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ। যা রাজ্য-স্তরের মডেল প্রদর্শন এবং প্রতিযোগিতাকে আরও জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, যে টেকসই জীবনযাপন আমাদের পৃথিবী এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মঙ্গলের জন্য অভ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শুধুমাত্র পরিবেশ-বান্ধব অনুশীলনগুলি গ্রহণ করে আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ করতে পারি। তিনি সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতার জন্য প্রশংসা করেন এবং প্রত্যেককে এই ধারণাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এদের প্রয়োগ করে নির্মল ত্রিপুরা গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন যে, ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশ রক্ষায় তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন প্রয়োজন সমাজের সকল শ্রেণীর টেকসই জীবনধারা অবলম্বন করা।
এই মডেল প্রদর্শন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি, ‘সার্কুলার ইকোনমি’ অধিনে ১২টি বিষয়ের উপর, হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরও পুরস্কৃত করা হয়েছে এবং পুরস্কার সরূপ নগদ ৩০০০ টাকা এবং ট্রফি প্রদান করে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্কুলের ৪০০ ছাত্রছাত্রী এই বৈচিত্র্যময় এবং সৃজনশীল প্রদর্শনীর সাক্ষী হতে এবং প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিল।
ধন্যবাদ সূচক আলোচনায় ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচীব ডঃ বিশু কর্মকার এই অনুষ্ঠানের সার্বিক যথার্থতা আলোচনাক্রমে প্রতিটি নাগরিক তথা ছাত্রছাত্রীর পরিবেশ বান্ধব জীবনশৈলী অবলম্বনের আহ্বান জানান।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*