সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২২ সেপ্টেম্বর || ফের উত্তপ্ত ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা। এক ব্রু জনজাতি অংশের যুবককে মেরে ফেলার অভিযোগে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে গন্ডাছড়া মহকুমা সদর এলাকা। উক্ত ঘটনা নিয়ে মুখ লুখোতে চাইছে একের পর এক পুলিশ অফিসাররা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ধলাই জেলার গঙ্গানগর থানাধীন ১৩ মাইল এলাকার এক পুলিশ কর্মী এবং এক যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমার উল্টাছড়া এডিসি ভিলেজের ব্রু সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের জনাথন ব্রু ওরফে জন রিয়াংকে নিয়ে শুক্রবার আল্টো গাড়ী নিয়ে নারকেল কুঞ্জে বেড়াতে যান সকল বন্ধুরা। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল তিনটা নাগাদ নারকেল কুঞ্জের একপাশে ডিউটিরত পুলিশের সামনেই মদের আসর জমায় মৃত যুবক সহ অন্যান্য বন্ধুরা। মদের আসরেই কোন একটা কিছু বিষয় নিয়ে ব্রু সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের যুবকের সঙ্গে বাকবিতন্দা শুরু হয়। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। কিছুক্ষন পর সবই নীরব হয়ে যায়। তিন আততায়ী গাড়ী চালক এবং ওই যুবতী নারকেল কুঞ্জ ত্যাগ করে। গভীর রাতে নারকেল কুঞ্জের পাশের জলাশয় থেকে ভেসে উঠে জনথন ব্রু -র মৃতদেহ। শোরগল পড়ে গন্ডাছড়া মহকুমা সদরে। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রইস্যাবাড়ি থানার ওসি সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। শনিবার দুপুর নাগাদ মৃত যুবকের লাশ পৌছায় গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে। হাসপাতালে লাশ পৌছতেই সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয় মহকুমা সদরে। সংবাদ পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন বিধায়িকা নন্দিতা রিয়াং দেব্বর্মা। গন্ডাছড়ায় ছুটে আসেন ধলাই জেলার সহকারী পুলিশ সুপার।
উক্ত ঘটনাটি নিয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হলো উক্ত ঘটনায় জড়িত তিন খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে রইস্যাবাড়ি থানার পুলিশ। তিন খুনিকে গ্রেপ্তার করলেও উক্ত তিন খুনির নাম সংবাদ মাধ্যমে জানাতে চাইছে না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে জনথন ব্রু -র অকাল হত্যার দায়ে রইস্যাবাড়ি থানায় আটক তিন আটকব্যক্তির নাম কেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করছে না পুলিশ তা নিয়ে যতেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ সূত্রে প্রকাশ খুনী আটক তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন পুলিশ কর্মী। ওই পুলিশ কর্মীই মূল খুনী। ওই খুনী পুলিশ কর্মীকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে মহকুমার একাংশ পুলিশ কর্মকর্তা। তবে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে গন্ডাছড়া মহকুমা।