বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২২ সেপ্টেম্বর || মন্ত্রীর সহযোগীতায় দীর্ঘ ৩৩ দিন পর মৃতদেহ খুঁজে পেলো পরিবারের লোকজনেরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২০শে আগষ্ট শান্তিরবাজার মহকুমার কোয়াইফাং এডিসি ভিলেজের কায়ারাম পাড়ার বাসিন্দা বিরমনী বাড়ী থেকে বের হবার পর আর বাড়ীতে পৌঁছায়নি। পরিবারের লোকজনের ধারনা বর্ষার ফলে মাটির ধ্বস পরে বীরমনী ত্রিপুরার মৃত্যু হয়। বীরমনী ত্রিপুরার সহধর্মীনি ছারা আর কেউ নেই। তাই তিনি এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার নিকট উনার স্বামীকে খুঁজে পেতে সাহায্য চাইলেন। অবশেষে রবিবার অনেক খোঁজিখুঁজির পর মন্ত্রী, শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক ও নবম বাহিনী টি এস আর এবং এস ডি আর এফ টিমের সহযোগীতায় দীর্ঘ ৩৩ দিন পর বিরমনী ত্রিপুরার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। বাড়ীর পাশ্ববর্তী এলাকায় মাটি চাপা পরে শাসরুদ্ধ হয়ে বিরমনী ত্রিপুরা পরলোক গমন করেন। উনার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার খবর ছরিয়ে পরতেই ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায় মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক মনোজ কুমার সাহা, বাইখোড়া থানার ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা।
শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে বিরমনী ত্রিপুরার মৃতদেহ দাহ করার জন্য নগদ দশ হাজার টাকা পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দওয়া হয়। মহকুমাশাসক জানান, বিরমনী ত্রিপুরার পরিবারেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরো ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। মোট ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। মৃতদেহ খুঁজে পাবার পর মেডিকেল টিমের উপস্থিতিতে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়ার সহযোগীতায় পরিবারের লোকজন সরকারি আর্থিক সহযোগীতা পেয়েছে ও বিরমনী ত্রিপুরার মৃতদেহ পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়েছেন। তাই সকলে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়াকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।