সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ৩০ সেপ্টেম্বর || নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এবং মহকুমার হিন্দু সনাতনীদের পাশে দাঁড়িয়ে সনাতনীদের উপর অত্যাচারীদের রুখতে গন্ডাছড়া মহকুমায় আত্ম প্রকাশ করলো নতুন সংগঠনের। নামাকরণ করা হলো সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটি।
রবিবার গন্ডাছড়া মহকুমার সরমা এলাকার সরকারি মৎস্য খামারের প্রশিক্ষন কেন্দ্রে মহকুমার সমস্ত ক্লাব এবং সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গুরুত্ব পূর্ণ সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তপন চৌধুরী, সুজিত দাস এবং লিটন দেবনাথ। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবক স্বপন মন্ডল। গন্ডাছড়া মহকুমার বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির উপর আলোচনা করে দুঃখ প্রকাশ করেন বিভিন্ন ক্লাব এবং সংস্থার কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থার কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পর বিশদে আলোচনায় অংশ নেন লিটন দেবনাথ, তপন চৌধুরী এবং সুজিত দাস। এই তিন বক্তাই বর্তমান গন্ডাছড়া মহকুমার অশান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, গত ১২ই জুলাই রাতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এবং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পুলিশ টিএসআর এবং সিআরপিএফ’র সামনে শতাধিক বাঙালি জাতির বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে চুরি ডাকাতি লুটপাট চালিয়ে স্বর্বস্য লুটে নিয়ে কয়েক শত বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় একাংশ দুষ্কৃত্বকারী। ঘরছাড়া হয় প্রায় পাঁচ শতাধিক বাঙালি অংশের মানুষ। আজও তারা শিবিরে অবস্থান করছে। ওই শিবিরে শরণার্থীদের মিলছেনা জল, নেই চিকিৎসা ব্যবস্থা, মিলছে না খাবার। শিবিরে চলছে এক হৃদয় বিদারক ছন্নছাড়া দৃশ্য। এই অবস্থায় আমরা এই গন্ডাছড়া মহকুনায় দুর্গাপূজা করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। সুতরাং এবার আমরা পূজা করবো না। তাছাড়াও গন্ডাছড়া মহকুমায় একটা নির্দিষ্ট জাতি লাগাতরভাবে অত্যাচারিত নিপীড়িত। এই তিন বক্তার বক্তব্য শেষে উক্ত সভায় একটি নতুন সংগঠনের জন্ম হয়। নামাকড়ন করা সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটি। ১১ জনকে নিয়ে গঠন করা হয় কার্যকরী কমিটি। সর্ব সম্মতিক্রমে নব কমিটির সভাপতি, সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন স্বপন মন্ডল, তপন চৌধুরী এবং নিবারণ সরকার।