সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ০২ অক্টোবর || আচমকা তিনি এলেন, সকলের সঙ্গে কথা বলে সকলের দুঃখকে ভাগ করে নিলেন, সকল শিবিরবাসীদের সঙ্গে এক সঙ্গে ভাত খেলেন। শিবিরে থাকা সকলের মধ্যে রান্নার সমস্ত সরঞ্জাম কম্বল মশারি শাড়ি ধুতি সহ সকল প্রকারের খাবারের জিনিশপত্র দান করেন। তিঁনিই রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ সকলের প্ৰিয় প্রতিমাদি বা প্রতিমা ভৌমিক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ই জুলাই রাতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং সুপরিকল্পিত ভাবে গন্ডাছড়া মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বাঁচাই করা বাঙালি অংশের বাড়িঘর লুটপাট চুরি ডাকাতি শেষে আগুনে পুড়ে ছারখার করে দেয় দুষ্কৃত্বকারীরা। ১৩ই জুলাই থেকে শিবিরে আশ্রয় নেয় প্রায় পাঁচ শতাধিক বাঙালি অংশের লোকজন। গন্ডাছড়া মহকুমার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ভবনে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের রাজ্যের বহু সরকারী বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়।
এরই মধ্যে বুধবার দুপুর নাগাদ গন্ডাছড়া মহকুমার ঐশিবিরে আচমকা পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। শিবিরে হাজির হয়েই সকলের সঙ্গে কথা বলে সুখ দুঃখের কথা ভাগ করে নেন প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। সকল শিবিরবাসীদের সঙ্গে বসে ভাতও খেলেন প্রাক্তন সাংসদ। শেষে শিবিরবাসীদের মধ্যে রান্নার সমস্ত সরঞ্জাম, কম্বল বালিশ মশারি আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের মধ্যে সমান ভাবে সকলের মধ্যে বস্ত্রদান করেন। তাছাড়াও চালডাল মশলাও বিতরণ করেন রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। দুর্গাপূজার প্রাকমুহূর্তে পবিত্র মহালয়ার পুণ্য তিথিতে প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক কর্তৃক এই সাহায্য পেয়ে কিছুটা হলেও খুশী শিবিরবাসীরা। তবে ত্রাণ বন্টনকালে একাংশ শিবিরবাসীর অসামাজিক আচার আচরণে বেজায় ক্ষোদ্ধ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।