আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ অক্টোবর || মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ্য শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের সপ্তম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। চলবে আগামী ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার হাত ধরে রাজ্যব্যাপী এই অভিযানের সূচনা হয় আমবাসা টাউন হলে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর অরুন্ধতীনগর কমিউনিটি সেন্টারে পশ্চিম জেলা ভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ্য শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের সূচনা করেন বিধায়ক তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। এদিন মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৩৯নং পুর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর অলক রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী সঞ্জয় সাহা, ডিআইএসই বিপ্লব ঘোষ, ওএসডি সাধন কুমার নাগ সহ অন্যান্যরা।
জানা যায়, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তা হল, কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো হবে ২,৬৭,৫৯৯ সংখ্যক শিশু কিশোর কিশোরীদের। আয়রন ফলিক অ্যাসিডের সিরাপ খাওয়ানো হবে ৫৮,৭৪৬ সংখ্যক শিশুদের। গোলাপি রঙের আয়রন ফলিক অ্যাসিড খাওয়ানো হবে ৬৫,৭৭৭ সংখ্যক শিশুদের। নীল বর্ণের আয়রন ফলিক অ্যাসিড খাওয়ানো হবে ১,২৪,০৩২ সংখ্যক শিশুদের, পুষ্টি নির্ধারণ করা হবে ৫৯,৬৬১ সংখ্যক শিশুদের। তাছাড়া ৭,৩৭৭ সংখ্যক শিশুদের ১০ বছরের টিটেনাস ডিপথেরিয়া টিকাকরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, ৮,২৫৮ সংখ্যক শিশুদের ১৫ বছরের টিটেনাস ডিপথেরিয়া টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নিয়ে থাকেন তারা হলেন, আশা দিদিমণি, অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণি, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, এম পি ডাব্লিউ, সিএইচওরা।
এদিন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র সবার কাছে যেন এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয় এই আহ্বান রাখেন। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার আসার পর স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। পারিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এখন বড় বড় অপারেশন রাজ্যেই হচ্ছে বহিরাজ্যে যেতে হচ্ছে না রোগীদের। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার আসার পর থেকে স্বাস্থ্য পরিসেবার আমুল পরিবর্তন হয়েছে প্রভূত উন্নতি সাধন হয়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। সমাজ গঠনে ভবিষ্যতে যারা কাজ করবে তারা যেন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থভাবে তৈরি হতে পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে বলেও তিনি আহ্বান রাখেন।