বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৬ অক্টোবর || অবৈজ্ঞানিক ভাবে গড়ে তোলা ওএনজিসি ক্যাম্প তুলে নিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় লোকজনেরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শান্তিরবাজার মহকুমার বাইখোড়া লতুয়াটিলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় অস্থায়ীভাবে ওএনজিসি’র ক্যাম্প নির্মান করা হয়েছে। এই ক্যাম্পে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক রয়েছে। দেখা যায় কোনপ্রকার সুবন্দোবস্ত ছারাই ক্যাম্পটি নির্মান করা হয়েছে। সারাদিন ব্যাপী শ্রমিকরা পাশ্ববর্তী এলাকায় খোঁলা জায়গায় শৌচ করছে। এতে করে লোকজনের যাতায়াতের অসুবিধার সন্মুখিন হচ্ছে ও সর্বত্র দুগন্ধ ছরিয়ে পরছে। এতে করে স্থানীয় লোকজনেরা বিশেষ অসুবিধার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। অপরদিকে দেখাযায় শ্রমিকরা অবৈজ্ঞানিক ভাবে খোলা আকাশের নিচে তাদের খাবার রান্না করছে ও এলাকার স্থানীয় একটি কল থেকে জলসংগ্রহ করে জল পান করছে। জানা,যায়, কলটি এইবারের বন্যায় জলের তলায় চলে গিয়েছিল। এতে করে অপরিশোধিত জল পান করছে শ্রমিকরা। অন্যদিকে লক্ষ্য করা যায় এই শ্রমিকদের দিয়ে যারা কাজ করাচ্ছে উনারা শিততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকছে। রাজ্যে প্রতিনিয়ন শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের স্বার্থে আওয়াজ তুললেও এই চিত্র দেখে উনারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করছে সকলে। শ্রমিকদের হয়ে আওয়াজ তুললো জোলাইবাড়ী বিজেপি’র নেতৃত্ববৃন্দরা। স্থানীয় নেতৃত্বরা শ্রমিকদের হয়ে আওয়াজ তুলতে দেখা গেলো। স্থানীয় কৃষকরা সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে জানান, এইবারের বন্যায় কৃষকরা ব্যাপকহারে ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে। এর মধ্যে ওএনজিসি’র বোম ফাটানোর জন্য কৃষকরা নতুন করে ক্ষতির সন্মুখিন হতে হচ্ছে। ওএনজিসি থেকে যে পরিমানে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে কৃষকদের কিছুই হবে না। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীরা চাইছে এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এলাকা থেকে ওএনজিসি’র ক্যাম্প তুলে নেওয়া হোক। এই বিষয়ে স্থানীয় নেতৃত্বরা জানান, উনারা উন্নয়নের পক্ষে। সকলে চায় উন্নয়নমূলক কাজ হোক কিন্তু অবৈজ্ঞানিক ভাবে গরে উঠা ক্যাম্প নির্মান ও শ্রমিকদের স্বার্থে উনারা আন্দোলন করবেন। এখন দেখার বিষয় এলাকাবাসীর সুবিধার্থে প্রসাশন কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।