তেলিয়ামুড়া থানার অফিসার ইনচার্জের দুর্ব্যবহারের শিকার শহরের দুই সাংবাদিক!

সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২৭ অক্টোবর || সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে খোদ তেলিয়ামুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব দেবনাথের দুর্ব্যবহারের শিকার তেলিয়ামুড়া শহরের দুই জন সাংবাদিক!
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৬শে অক্টোবর শনিবার রাতে যখন সমগ্র তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন ক্লাবগুলোর মত করে আসন্ন শ্যামা পূজাকে কেন্দ্র করে গৌরাঙ্গ টিলা যুব সংস্থার সদস্যরা রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা সংগ্রহ করছিল। তখন সংশ্লিষ্ট স্থানে কর্তব্য পালনে ব্যস্ত থাকা তেলিয়ামুড়া থানার একাংশ পুলিশ বাবুরা রেগে গিয়ে সেই স্থানে যায় এবং চাঁদা বন্ধ করার আহ্বান রাখার পাশাপাশি ওই ক্লাবের ঘটনাস্থলে থাকার সদস্যদের মধ্যে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্বাভাবিক ব্যাপার করবেই, কারণ যেহেতু রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা আদায় করা আইনের ঊর্ধ্বে। কিন্তু যখন পুলিশ বাবুরা ক্লাবের সদস্যদের আটক করে গাড়িতে তুলছিলেন তখন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা তৎসঙ্গে তেলিয়ামুড়া মহাকুমার দুই জন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ বাবুরা তার পরিচয় জানতে চাইলে সে জানায় যে সে এই গ্রামের বাসিন্দা এবং এই ক্লাবেরই একজন সদস্য তৎসঙ্গে তেলিয়ামুড়া মহকুমার দুই জন সাংবাদিক। কিন্তু পুলিশ বাবুরা তার কথা না শুনে তাদের সিদ্ধান্ত যে ওই সাংবাদিক নাকি চাঁদা আদায়ের এখানে ছিল এবং তাকে তারা থানায় আটক করে নিয়ে যাবে। এছাড়াও খবর সূত্রে জানা যায়, ওই সাংবাদিক যখন উনার সাংবাদিকতার পরিচয় দেন ক্ষুদ তেলিয়ামুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব দেবনাথের নিকট তখন বাহুবলী অফিসার ইনচার্জ রাজীব দেবনাথ নাকি বলে ওঠেন যে উনি সাংবাদিক হলে রাত বারোটার পর গ্রামের পুজোর সামনে থাকতে পারবে না এবং যতই সাংবাদিক হোক না কেন তিনি তাকে আটক করবেন মানে করবেনই। এখন প্রশ্ন রাত বারোটার পর নিজের গ্রামের ক্লাবে কোন সমস্যা হলে সাংবাদিক কি ঘটনাস্থলে যেতে পারবেন না? এটাই কি তেলিয়ামুড়া থানার বাহুবলী অফিসার ইনচার্জ এর রাজিব দেবনাথের করা হুঁশিয়ারি?
অন্যদিকে এটাও গুঞ্জন রয়েছে যে সমস্ত পুলিশ বাবুরা তাদের আটক করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল তারা নাকি লাল নীল জলের নেশায় বুদ হয়ে রয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিক মহলের তরফ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় যোগাযোগ করা হলে তেলিয়ামুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব বাবু চাপে পড়ে জনৈক সাংবাদিকদের ছেড়ে দেবার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবে গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তেলিয়ামুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব দেবনাথ কর্তৃক সাংবাদিক অপমানের ঘটনায় গোটা সংবাদ মাধ্যম মহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। অন্যদিকে তেলিয়ামুড়া থানা সূত্রের খবর এই বাহুবলি অফিসার ইনচার্জ রাজীব দেবনাথ নাকি তেলিয়ামুড়া থানাকে কাজে লাগিয়ে একাংশ দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। যেমন তেলিয়ামুড়ার থানার নাকের ডগা দিয়ে গাঁজার গাড়ি চলে যাচ্ছে, তার সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ রাজীব বাবুর কাছে থাকলেও সেগুলিকে ধরার সৌজন্যতা বোধ করছেন না অফিসার ইনচার্জ। এই সকল দুর্নীতির সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ সহ আগামী দিনে তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে ধিরে ধিরে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*