গোপাল সিং, খোয়াই, ২১ মে ।। খোয়াই এখন আর ১০-১৫ বছর আগেকার অবস্থায় নেই। বর্তমানে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি সাধনের সাথে সাথেই জীবনশৈলী পাল্টে যাচ্ছে। বর্তমানে খোয়াই শহরের উপর পিক আওয়ারে মাত্রারিক্ত যানবাহন চলাফেরা করে। কিন্তু যানবাহনের মাত্রা বাড়লেও ট্রাফিক পুলিশি ব্যবস্থার মান উন্নয়ন এখনো সুদূরপরাহত। তবে পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালক কিংবা বাইক আরোহীদের নিয়ন্ত্রনবিহীন মাত্রারিক্ত গতিবেগ ও বাড়ছে। ফলে বাড়ছে দূর্ঘটনা। খোদ ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগাতেই বৃহস্পতিবার সকালে খোয়াই টিআরটিসি সংলগ্ন রাস্তায় ঘটে গেলে যান দূর্ঘটনা। অটো-মারুতি ও বাইকের মধ্যে সংঘর্ষে এক মহিলা বাইক আরোহী গুরুতর জখম হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোয়াই বনকর নিবাসী শলিল দে ও উনার বোন আল্পনা দে TRM-5958 নম্বরের বাইকে করে গনকী থেকে সুভাষপার্ক আসার পথে একটি অটো গাড়ী তাদের ধাক্কা দেয়। ঠিক সেই মুহুর্তেই তেলিয়ামুড়া নিবাসী এক সরকারী আইজীবি TR01U-0407 নম্বরের মারুতি গাড়ী করে বেপরুয়া গতিতে এসে আল্পনা দে’কে চাপা দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আল্পনা দে’কে প্রথমে খোয়াই জেলা হাসপাতালে এবং পরবর্তী সময় জিবি স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে সরকারী আইনজীবির গাড়ীটি মহিলাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে উত্তেজিত জনতা গাড়ীর চালককে উত্তম-মধ্যম দেয় এবং গাড়ীটিতে ভাঙচুর চালায়। সবটাই হয় ট্রাফিক পুলিশের একশ মিটারের আওতার মধ্যেই। ট্রাফিক পুলিশের সামনেই উত্তেজিত জনতা গাড়ীটি ভাঙচুর করে। উক্ত ঘটনায় খোয়াই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার কঙ্কালসাড় চেহারাই ফুটে উঠে। জেলা সদর মহকুমার এধরনের ট্রাফিক ব্যবস্থা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না খোয়াইবাসী। তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশের নেই কোন ট্রেনিং। তাই তারা প্রায়শ:ই মনগড়া সাইন দেখিয়ে যানবাহন চালক ও পথচারীদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেন। সেই বিভ্রান্তি বড়সড় দূর্ঘটনার কারনও হয়ে উঠতে পারে।