সড়কের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ০৭ নভেম্বর || কাঁদায় কর্দমাক্ত হউক প্রতিটি রাস্তা, পানীয় জলের অভাবে তৃষ্ণার্ত হয়ে মরুক সাধারণ মানুষ। কাজ খাদ্য এবং বাঁচার তাগিদে চিৎকার করুক সাধারণ মানুষ এতে আমাদের কি আসে যায়, আমরা চাই টাকা শুধু টাকা। আর এমন একাংশ লোভী ব্যক্তিদের কাঁদে ভর করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একাংশ সরকারী কর্মচারী।
প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ইং এবং ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে গন্ডাছড়া মহকুমার দুইটি ব্লকে বেশ কয়েকটি সিসি রোডের কাজে হাত দেয় গন্ডাছড়া আর ডি দপ্তর। মহকুমার প্রতিটি সিসি রোডের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন স্ব স্ব এলাকার মানুষজন। সর্বশেষ সিসি রোড করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেলো উক্ত কাজের ইমপ্লিমেন্টিং আফিসার সুহাস দেববর্মা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ মুলে কাজের গোড়ায় গিয়ে দেখা যায় এযেন মর্জিমাফিক কাজের নিদর্শন। অভিযোগে জানা যায়, গন্ডাছড়া মহকুমার ডুম্বুরনগর ব্লকের অধীন পশ্চিম গন্ডাছড়া এডিসি ভিলেজ এলাকার ষাটকার্ড গ্রামের দেবনাথপাড়ার ইন্দ্রজিৎ সরকারের বাড়ীর সামনে থেকে ২৭০ মিটার কাঁচা রাস্তাটিকে সিসি রোড-এ পরিণত করার জন্য আর ডি দপ্তর থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৫০টাকা। উক্ত কাজের ইমপ্লিমেন্টিং আফিসার হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন ডুম্বুরনগর ব্লকের টেকনিক্যাল এসিস্টেন্ট সুহাস দেববর্মা। সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই সিসি রোডের কাজ হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের। উক্ত সিসি রোড নির্মাণে সিমেন্ট -এর পরিমান ছিল অত্যন্ত কম। ঢালাইয়ের সঙ্গে যে সমস্ত বালির মিশ্রণ দেওয়া হয়েছে সেই বালি প্রায় আশি শতাংশই পলিযুক্ত। এই সিসি রোডের বেশিরভাগ স্থানেই রড দেওয়া হয়নি। তাও যে কয়েকটি রড দেওয়া হয়েছে সবগুলিই সিক্স এম এম-এর রড। গ্রামবাসীদের দাবী পুনরায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সামনে রেখে কাজ করা হউক। উল্লেখ্য, টেকনিক্যাল এসিস্টেন্ট সুহাস দেববর্মার বিরুদ্ধে বহু কাজের নিম্নমানের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান অফিস কর্মী এবং গ্রামবাসীরা। এখন দেখার বিষয় আর ডি-র নয় নম্বরী কাজের সঠিক তদন্ত করে সরকারী টাকার নয়ছয়-এর মাস্টার মাইন্ড সুহাসের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় দপ্তর।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*