সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ০৮ নভেম্বর || ধীরে ধীরে শীত পড়তে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যে। গন্ডাছড়া মহকুমাও ব্যতিক্রম নয়। সকল মহকুমাবাসীই কিন্তু সাধ্য অনুযায়ী শীত বস্ত্র ক্রয় করতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কে স্মরনে রাখবে এই হতভাগ্যদের কথা। যারা জনজাতি এক যুবকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসার আগুনে ছারখার হওয়া ১৬৫ পরিবারের লোকজন এক কাপড়ে শরণার্থী হওয়ার লোকজনদের। প্রায় একশো দিন অস্থায়ী শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানের পর ঘর মুখো হয়েছেন সর্বহারা শরণার্থীরা। উক্ত শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গোটা রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন। শীত আসতেই ফের এই শরণার্থীদের কথা স্মরণ করলো রাজ্য সিপিআই(এম) দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। যদিও সমস্ত শরণার্থীরাই স্ব স্ব গৃহে অবস্থান করছে। এরপরও বসে নেই সিপিআই(এম) দল। উক্ত সর্বহারাদের শীত মরসুমে শীত বস্ত্র তথা কম্বল চাদর প্রদান করার উদ্দেশ্যে শুক্রবার গন্ডাছড়ায় ছুটে আসেন বলিষ্ঠ বামনেতা সুধন দাস, বিধায়ক সুদীপ সরকার সহ রাজ্য নেতৃত্ব।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ হরিপুরের তারাবন কলোনির পাশে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ই জুলাই রাতে এক ধ্বংসলীলায় শরণার্থী সর্বহারা ১৬৫ পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল এবং চাদর তুলে দেন রাজ্য নেতৃত্ব সুধন দাস, বিধায়ক সুদীপ সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক ললিতমোহন ত্রিপুরা, মহকুমার দলীয় সম্পাদক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা এবং শৈলেশ দাস প্রমুখ। রাজ্য নেতৃত্ব সুধন দাস গন্ডাছড়া মহকুমার সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ -এর উর্দ্ধে উঠে বাঁচাবারার সংকল্প গ্রহণ করার আহ্বান জানান।