বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০৯ নভেম্বর || আগষ্ট মাসের বন্যার প্রবল জলস্রোতে ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে কৃষকরা। শান্তিরবাজার মহকুমার অধিকাংশ লোকজন কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পুনরায় ধান উৎপাদনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বগাফা কৃষি দপ্তর ও জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তর। বগাফা কৃষি দপ্তরের তত্ববধায়ক রাজীব সেন ও জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস প্রতিনিয়ত কৃষকদের পাশে থেকে হাইব্রীড ধান উৎপাদনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বন্যার পরবর্তী সময় কৃষকদের আয় দ্বিগুন করতে ও ধানের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কৃষি দপ্তরের উদ্দ্যেগে সকল কৃষকদের হাইব্রীড ধানের বীজ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রায় ৭০ দিনে ধান উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে কৃষকরা।
এই ধান উৎপাদনের বিভিন্ন দিকগুলি পরিদর্শনে ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে কৃষকদের মাঠে গিয়ে ধান উৎপাদনের কাজ পরিদর্শন করেন কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা সরদিন্দু দাস। তিনি পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে জানান, এইবছর বন্যার পরে সারা রাজ্যে ১০ হাজার হেক্টর হাইব্রীড ধান চাষের টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
শনিবার এই পরিদর্শনে শান্তিরবাজার মহকুমার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন এই পরিমানে ধান উৎপাদন হবে তা কৃষকরাও আশা করেননি। বর্তমান সময়ে শান্তিরবাজার মহকুমায় ধানের উৎপাদ দেখে দপ্তরের আধিকারিকদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন দপ্তরের অধিকর্তা সরদিন্দু দাস। তিনি জানান, রবিখন্দে ৩০ হাজার হেক্টর হাইব্রীড বরোধান চাষের টার্গেট রাখা হয়েছে। এছারা তিনি জানান, এইবারের বন্যায় অধিকাংশ কৃষিজ জমিতে পলি জমেছে এতে করে কৃষিজ জমির উরবতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শান্তিরবাজার এবং জোলাইবাড়ী এলাকা কৃষিজ জমি পরিদর্শন শেষে দপ্তরের অধিকর্তা উনার পরবর্তী গন্তব্যস্থলে চলে যান। সেখানে যাবার পূর্বে দক্ষিন জেলার কৃষি আধিকারিক সুমিত কুমার সাহাকে সারাদিন ব্যাপী কৃষিজ জমি পরিদর্শন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু দেখা যায় এই নির্দেশকে অমান্য করে চলে যান সুমিত কুমার সাহা। সুমিত কুমার সাহা প্রতিনিয়ত কৃষকদের অবহেলার নজরে দেখেন বলে অভিযোগ উঠে আসে যা আজকের দিনে দপ্তরের অধিকর্তার আদেশ অমান্য করা নিয়ে সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠে। সকল কৃষকরা চাইছে সুমিত কুমার সাহার পরিদর্শে অন্য আরেকজন আধিকারিককে দক্ষিন জেলায় নিয়ে আসা হোক।