জামাই ষষ্ঠী

Jamai Sashtiদেবজিত চক্রবর্তী , আগরতলা, ২৪ মে ।। কালের বাতাসে সাবেকী অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে, ইতিমধ্যেই কিছু জিনিষ অবলুপ্ত হয়েছে আবার কিছু অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। সামাজিক কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানের অর্থই হচ্ছে আত্মীয় পরিজনের অংশগ্রহনে মানুষে মানুষে মেলবন্ধন আর নৈকট্য বাড়ানো। আধুনিকতার এই হাইটেকের দুনিয়ায় মানুষ থেকে মানুষ এমন কি রক্তের সম্পর্কেও চিড় ধরার পরিস্থিতিতে জামাই ষষ্ঠীর বার্তা একটাই মিলনের মাঝেই লুকিয়ে আছে আনন্দ।
জামাই ষষ্ঠী আছে বলেই জামাই প্রজাতি অন্তত একটা দিনে অনুভব করে অন্যরকম পরিতৃপ্তি। দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে ষষ্ঠী নিতে চলে আসে। নির্দিষ্ট উপাদানে তৈরী মুঠোর জলে শ্বাশুড়ী মা জামাইয়ের মাথায় আশীর্বাদ করেন সঙ্গে উপরি পাওনা। সকাল থেকেই পায়জামা, পাঞ্জাবী গায়ে চড়িয়ে জামাইকূল চলেছে শ্বশুরালয়ের দিকে – এই ছবি শুধু ষষ্ঠীর দিনেই দেখা যায়।
জামাই ষষ্ঠীতেই জামাইয়ের মন চেয়ে ম্যানু তৈরী হয়। ভুরি ভোজের প্রশ্নে বাজারের অগ্নিমূল্য নিশ্চিৎভাবেই প্রভাব ফেলেছে। তবে জামাই ষষ্ঠীতে মাছ, মাংস, মিষ্টির দোকান থেকে কাপড়ের বিপনীতে ব্যস্ততার ছবিতে চিরায়ত মিলনের বার্তার প্রতিফলন ছিল। জামাইষষ্ঠী জীবনানন্দের বহমান প্রতিচ্ছবি। 
জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষ্যে জামাইয়ের পাতে পদ্মার ইলিশ তুলে দেবেন ভালই জানেন মৎস ব্যবসায়ীরা, ইলিশের দাম শুনে খাওয়ার আশা অনেকে দর্শনেই শেষ করেছেন। যাদের সাধ আর সাধ্য দুই-ই আছে তারা ইলিশ ক্রয় করেছেন। সঙ্গে মাংস হিসেবে পাঁঠা, মুরগীর দোকানে ভীড় দেখা গেছে কাকভোরে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*