সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৫ নভেম্বর || গন্ডাছড়া মহকুমায় পূর্ত দপ্তরের পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে মোটরস্ট্যান্ড-এর নির্মাণ কাজে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শরা। এই নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও মহকুমার পূর্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা কাক ঘুমে বিভোর। ফলে স্থানীয় পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছে সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, গন্ডাছড়া সৃষ্টির পর থেকেই গন্ডাছড়ায় কোন স্থায়ী মোটরস্ট্যান্ড নেই ফলে ছোটবড় যান চালকরা নিজনিজ ছোটবড় গাড়ী কখনো হাসপাতাল চৌমুহনি কখনো থানা চৌমুহনি কখনো অটো সিন্ডিকেট চত্বর সহ গোটা গন্ডাছড়া মহকুমা বাজারের যত্রতত্র বেআইনিভাবে পার্কিং করে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। গাড়ীগুলির বেআইনি পার্কিং ব্যবস্থা নিয়ে বারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বারবার সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত গন্ডাছড়া মহকুমার ব্যবসায়ী, পথচারী এবং যান চালকদের চরম সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা গন্ডাছড়া মহকুমার শ্মশানঘাট সংলগ্ন স্থানে চলতি বছরের মার্চ মাসে নতুন মোটরস্ট্যান্ড-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পূর্ত দপ্তর কর্তৃক দরপত্র আহ্বানের মধ্যদিয়ে কাজের বরাত পান রাজ্যের এক ঠিকাদার। যথা সময়ে কাজেও হাত দেয় ওই ঠিকাদার। কাজ চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ উক্ত মোটরস্ট্যান্ড-এর নির্মিয়মান দালানবাড়ীর নির্মাণ কাজ চলছে অত্যন্ত নিম্নমানের। অভিযোগ নির্মাণ কাজে যে সমস্ত বালি ব্যবহার করা হচ্ছে সেই সমস্ত বালির ষাট ভাগই পলিযুক্ত। নির্মাণ কাজে আনক্লাস ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ পলিযুক্ত বালির সঙ্গে সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে নামমাত্র। যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে গন্ডাছড়া মহকুমার মোটরস্ট্যান্ড-এর পাঁচ কোটির দালানবাড়ী। এই দালানবাড়ীর টেকসই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাণ কাজের দুই নম্বরী কাজের প্রত্যক্ষদর্শীরা। কিন্তু সব কিছুই জানেন মহকুমার পূর্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা। তবু যেন মনে হয় পূর্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা কাক ঘুমে বিভোর।
