সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৮ নভেম্বর || সরকারী সম্পদ বলে কথা। সরকারী কোটি টাকার সম্পদ জঙ্গল আর আগাছায় গ্রাস করে নিয়েছে। সরকারী সম্পদ হওয়ার ফলে কারোর কোন মাথা ব্যথা নেই। এখানে বলা হচ্ছে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কথা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে গন্ডাছড়া মহকুমার সদর বাজারের দুর্গাবাড়িতে প্রথম অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের সূচনা হয়। পরবর্তী সময়ে গন্ডাছড়া মহকুমার হরিপুরে নতুন দালানবাড়ী নির্মাণের মধ্যদিয়ে ২০০৯ সালে তৎকালীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী জয়গোবিন্দ দেবরায়ের হাত ধরে নতুন অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের সূচনা হয়। উক্ত অগ্নি নির্বাপক অফিসের ঠিক পেছনেই বিশাল টিলা জুড়ে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের জন্য আবাসন বা কোয়ার্টারের কাজে হাত দিয়েছিলো তৎকালীন সরকারের অগ্নি নির্বাপক দপ্তর। ঐ সময়ে কয়েক কোটি টাকার কোয়ার্টার নির্মাণের কাজ অর্ধ নির্মিত রেখে পূর্ত কর্মকর্তাদের গুপন আর্থিক লেনদেনের কারসাজিতে সাতটি একতলা এবং দ্বিতল বিশিষ্ট দালানবাড়ীর কাজ অর্ধ সমাপ্ত রেখে কাজের সমস্ত বিল হাতিয়ে নিয়ে পলায়ন করে ঐ ঠিকেদার। ফলে এরপর থেকেই ঐ আবাসন গুলি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। গত ১৫ বছরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের আবাসন গুলি শুধু পরিত্যাক্তই নয় ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলাতেই ঐ এলাকায় গেলে গা ছম ছম করে উঠে। কিন্তু কয়েক কোটি টাকার সরকারী অমূল্য সম্পদ সরকারী কর্মচারীদের উদাসীনতার ফলে বিনষ্ট হবে তা মেনে নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। অপরদিকে গন্ডাছড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে মোট কর্মরত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৫ জন। কর্মীদের কোন কোয়ার্টার না থাকায় বছরের পর বছর অফিসের মেঝেতে থেকে কোন রকমে রাতদিন কাটাচ্ছেন। অথচ অল্প কিছু টাকা খরচ করলেই পুরাতন কোয়ার্টার গুলি মেরামত করলেই অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের বহু সমস্যার সমাধান হতে পারতো। কিন্ত করবেটা কে। প্রশ্নটা রয়ে গেলো।