বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০১ ডিসেম্বর || নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্যান্য বছরের ন্যায় এইবছরোও শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হলেন শান্তিরবাজার থানা ও মনপাথর ফাঁড়ী থানার আরক্ষা দপ্তরের কর্মীরা। শ্যামা মায়ের আরাধনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচী হাতে নিয়ে উদার মানসিকতার পরিচয় দিলেন মনপাথর ফাঁড়ী থানার ওসি জয়ন্ত দাস। ওসি জয়ন্ত দাস নিষ্ঠার সহিত নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নানান কর্মসূচী করে থাকেন। এরইমধ্যে পূজার মধ্যে মনপাথর বাজার এলাকায় শ্রমজীবি লোকজনদের বাছাই করে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এছারা মনপাথর ফাঁড়ী থানার উদ্দ্যোগে শান্তিরবাজার প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ও সমাজসেবীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পূজাকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনদের বিনোদনের জন্য ধর্মীয় কর্মসূচীর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
অপরদিকে শান্তিরবাজার থানার ওসি আশুতোষ শর্মার উদ্দ্যোগে শান্তিরবাজার থানায় শ্যামা মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ওসি আশুতোষ শর্মা শান্তিরবাজার থানায় এসেছেন যে কিছু সময় হয়েছে। থানার দায়িত্ব পাবার পর কিছুদিনের মধ্যে উনার সাধ্যমতো পূজার আয়োজন করে। পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় ও পূজায় আগত ভক্তবৃন্দদের জন্য পূস্পান্নের ব্যবস্থা করা হয়। শান্তিরবাজার থানা ও মনপাথর ফাঁড়ী থানায় আয়োজিত কালি পূজাকে কেন্দ্র করে আরক্ষা দপ্তরের কর্মী ও স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।
একই মহকুমায় জোলাইবাড়ী ফাঁড়ী থানায় আয়োজিত কালী পূজায় ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। জোলাইবাড়ী ফাঁড়ী থানার পূজাকে কেন্দ্র করে ওসি খোকন দাস বাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে সেই চাঁদার অর্থ দিয়ে পূজার নামে নিজেদের বিনোদনের ব্যবস্থা করেছে বলে স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে গুঞ্জন চলছে। একই মহকুমায় শান্তিরবাজার ও মনপাথর ফাঁড়ী থানার আয়োজিত পূজায় স্থানীয় লোকজনেরা যেইভাবে আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন জোলাইবাড়ী ফাঁড়ী থানায় শুধুমাত্র থানা বাবুরা ও ওসি খোকন দাসের কাছের কিছু সংখ্যক লোকজনেরা আনন্দে মাতোয়ারা হতে দেখা গেলো। এইধরনের পূজার আয়োজন করাতে ওসি খোকন দাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করছে সাধারন লোকজনেরা।