জাতীয় ডেস্ক ।। শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার হলে তবেই বিয়ে করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিলেন পুরুলিয়ার লিপিকা মাহাত। মেয়ের দাবি মেনে ব্যবস্থা নিচ্ছে লিপিকার পরিবার। লিপিকার সিদ্ধান্ত দারুণ খুশি জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
অযোধ্যার সাহারজোর গ্রামের মেয়ে লিপিকা মাহাত জানেন বাড়িতে শৌচাগার না থাকার অসুবিধা। তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল বাগমুণ্ডির তোড়াং গ্রামে। লিপিকা জানতে পারেন ওই বাড়িতে নেই শৌচাগার। তখনই জানিয়ে দেন, আগে শৌচাগার, পরে বিয়ে। লিপিকার এ পদক্ষেপে দারুণ খুশি প্রশাসন।
জেলায় নির্মল বাংলা অভিযানে লিপিকাকেই রোল মডেল করতে চায় প্রশাসন। স্বাস্থ্য সচেতনা বাড়াতে লিপিকাই এখন পুরুলিয়ার প্রিয়াঙ্কা ভারতী।
এর আগে মহারাষ্ট্র রাজ্যের আন্দুরা গ্রামের মারাঠি মেয়ে চৈতালি গালাখের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয় দেবেন্দ্র মাকোড়ের। বিয়েতে মেয়ের বাবা মেয়েকে দিলেন একটি অস্থায়ী শৌচাগার। শৌচাগারে রয়েছে পানির ট্যাংক, বেসিন, আয়না ইত্যাদি।