বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১১ জানুয়ারি || শান্তিরবাজার দেশবন্ধু ক্লাব প্রতিনিয়ত নানান সামাজিক কর্মসূচী করে থাকে। বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বন। বাঙ্গালীদের চিরাচরিত প্রথাকে টিকিয়ে রাখতে প্রত্যেক বছর ক্লাবের উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় পিঠেপুলি উৎসব। অন্যান্য বছরের ন্যায় এইবছরও দেশবন্ধু ক্লাবের উদ্দ্যোগে শান্তিরবাজার অটল মার্কেটে তিনদিন ব্যাপী পিঠেপুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। ক্লাব আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং। উদ্ভোধকের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক প্রবীর বরন দাস, ক্লাবের সভাপতি তথা শান্তিরবাজার পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, শান্তিরবাজার পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য, বাইখোড়া ইস্কন পরিচালিত জগন্নাথ জিউ মন্দিরের প্রভুজি করুনেশ্বর মাধব দাস, দক্ষিন জেলা পরিষদের সদস্য নিতিশ দেবানাথ, বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশিষ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন রাখেন ক্লাবের সম্পাদক প্রবীরবরণ দাস। তিনি জানান, দেশবন্ধু ক্লাবের এইধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার পিছনে তিনটি কারন রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম কারন হলো ঐতিয্যবাহী চিরাচরিত প্রথাকে টিকিয়ে রাখা। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগে পিঠেপুলির প্রথাকে ভুলে যাচ্ছে সকলে। তাই এই চিরাচরিত প্রথাকে টিকিয়ে রাখতে ক্লাবের এই বিশেষ উদ্দ্যোগ। পিঠেপুলি উৎসব করার পিছনে ক্লাবের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো শান্তিরবাজর পৌর এলাকার স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদের আর্থিক দিক দিয়ে সাবলম্বন করা। দেশবন্ধু ক্লাব আয়োজিত পিঠেপুলি উৎসবে শান্তিরবাজার পৌর এলাকা থেকে ৩৮টি স্বসহায়ক দল স্টল নিয়ে হাজির হয়েছে। সকলে নিজেদের তৈরি বিভিন্ন প্রকারের পিঠে নিয়ে এই স্টলগুলো সাজিয়ে তুলেছে। দেশবন্ধু ক্লাবের পক্ষ থেকে সকল স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদের পিঠে তৈরির সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। ক্লাবের উদ্দ্যোগে আয়োজিত মেলার পিছনে তৃতীয় কারন হলো সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন তৈরি করা। মেলায় সকল অংশের লোকজনের সমাগমে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন সৃষ্টি হবে বলে আশাব্যক্ত করেন উদ্দ্যোগতারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক জানান, আগরতলায় আয়োজিত ফুড ফেষ্টিবেলে সকলে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনা তাই গ্রামীন এলাকায় এইধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করাতে ক্লাব কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বিধায়ক।
অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্য শেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তথেকে আগত শিল্পীদেরনিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই মেলার শুভ সূচনা ও মেলার বিভিন্নদিকগুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন ক্লাবের সম্পাদক প্রবীরবরন দাস। তিনি জানান, এইবছর মেলা পঞ্চম বছরে পদার্পন করেছে। তিনদিন ব্যাপী চলবে এই পিঠেপুলি উৎসব। ক্লাবের উদ্দ্যোগে আয়োজিত পিঠেপুলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মহকুমার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ব্যাপকহারে লোকসমাগম ঘটে।