নারিকেল কুঞ্জে আবারো যাত্রী নিয়ে উল্টে গেল একটি নৌকা, আহত ৫ থেকে ৬ জন পর্যটক

সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ১১ জানুয়ারি || ট্যুরিজম প্রমো ফেষ্ট উদ্বোধনের পর থেকে ডুম্বুর জলাশয়ের নারিকেল কুঞ্জে পর্যটকদের ভিড় বেড়েই চলছে। বর্তমানে দেশ বিদেশের পর্যটকদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ডুম্বুর জলাশয়ের নারিকেল কুঞ্জ। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকদের সমাগম দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি ছুটির  দিনগুলিতে ভ্রমণ পিপাসুদের অধিক মাত্রায় ভিড়  লক্ষ্য করা যায়। শনিবার নারকেল কুঞ্জে ঘুরতে আসা দশজন পর্যটক একটি অত্যাধুনিক নৌকা ভাড়া নিয়ে ডুম্বুর জলাশয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়। নৌকাটি কিছুক্ষণ যাওয়ার পথে মুহূর্তের  মধ্যেই দশজন পর্যটককে নিয়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ছুটে আসে উদ্ধারকারী একাধিক নৌকা। স্থানীয় যুবকদের প্রচেষ্টায় দশজন পর্যটকদের উদ্ধার করলেও চার থেকে পাঁচ জন পর্যটক অল্প বিস্তার আহত হন বলে খবর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ একাংশ অতি উৎসাহী  পর্যটকরা মদমত্ত অবস্থায় নৌকার ছাদের উপর নাচতে শুরু করে। এতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জানা যায়, ওই নৌকাটি ভ্রমন পিপাসুদের আকর্ষণীয় করে তুলতে চতুর্দিকে গ্লাস লাগনো হয়েছে। রয়েছে এসির ব্যবস্থাও।
অপর দিকে গত ২৮শে ডিসেম্বর ১২ জন পর্যটকদের নিয়ে একই স্থানে একটি নৌকা ডুবে যায়। যদিও স্থানীয় যুবকদের প্রচেষ্টায় অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পরেও সরকারের টনক নড়েনি। জানা যায়, সরকারি  কাগজপত্রে নারিকেল কুঞ্জে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একাধিক বিধি নিষেধ অরুপ করা হয়েছে।নারিকেল কুঞ্জে ব্যবহৃত বোট গুলিতে লাইফ  জ্যাকেট ও লাইফ বয় থাকা অত্যাবশ্যকীয়। ডুম্বুর জলাশের ব্যবহৃত ছোট বোটে ১৫ জন, ফাইবার টরিজম বোটে ২০ জন, বড় বোটে ২৫ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। এর অধিক যাত্রী বহন করলে তার বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ঘুরতে আসা পর্যটকদের অভিযোগ সরকারের নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একাংশ বোট মালিক মর্জি মাফিক যাত্রী বহন করে যাচ্ছে। নেই কোন প্রশাসনের নজরদারি। ফলে ঘুরতে আসা সাধারণ পর্যটকরা একাধিক সমস্যা পড়তে হচ্ছে। পর্যটকদের দাবি পর্যটন দপ্তর কিংবা পর্যটন মন্ত্রী এই সকল বিষয় গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখার।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*