আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও তার আশপাশের এলাকায় ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে দেশটির প্রাচীন শহরগুলোর বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন।
২৫ এপ্রিলের ৭.৯ মাত্রার প্রলয়ংকারী ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর বিমান থেকে তোলা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের ছবি।
সেসব ছবির আলোকেই চলুন দেখে আসি নেপালে ভূমিকম্পের আগে ও পরের কিছু তুলনামূলক দৃশ্য।
১. কাঠমান্ডুর ঐতিহাসিক ধারারা টাওয়ার
বামদিকে ২৭ অক্টোবর ১৯৯৮ সালে তোলা একটি ছবি এবং ডানদিকের ছবিটি তোলা হয়েছে ভূমিকম্পের ঠিক পরদিন, অর্থাৎ চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল। নয়তলা উঁচু এই টাওয়ারটি তৈরি হয়েছিল ১৮৩২ সালে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবি।
২. কাঠমান্ডুর উপত্যকায় ইউনেস্কো স্বীকৃত সাতটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে অনন্ত চারটিই ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এগুলোর মধ্যে তিনটিই ছিল প্রাচীন নগর চত্বর। রাজধানী শহরের দরবার স্কয়ার এমন একটি চত্বর যেখানে ১৯ শতাব্দী পর্যন্ত নেপালের রাজপরিবারের আবাসস্থল ছিল। বামদিকের ছবিটি ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তোলা হয়েছিল এবং ও ডানদিকে দেখানো হচ্ছে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এলাকাটির ছবি, তোলা হয়েছে গত ২৭ এপ্রিল।
৩. ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদাপ্রাপ্ত ভক্তপুরের দরবার স্কয়ার।ভূমিকম্পে বহু ভবন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। কাঠমান্ডুর অদূরে ভক্তপুরের যে দরবার দরবার স্কয়ারের ছবি, ভূমিকম্পের আগে ও পরে তোলা।
৪. শহরের খোলা জায়গাগুলোতেই ঠাঁই হয়েছে ভূমিকম্পগ্রস্ত মানুষের।
মাঠ ও স্টেডিয়ামে তৈরি হওয়া অস্থায়ী শিবিরে রয়েছেন বাড়িঘর হারানো অসহায় মানুষগুলো। তারা এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। কৃত্রিম উপগ্রহ, অর্থাৎ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবি, ভূমিকম্পের আগে ও পরে।
৫. কাঠমান্ডুর অদূরে নেপালের প্রাচীনতম নগর হিসেবে সংরক্ষিত ভক্তপুর।
ভক্তপুর শহরের অর্ধেকের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে ভূমিকম্পে। সেখানকার ৮০ শতাংশ প্রাচীন মন্দির ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের আগে ও পরে তোলা ছবি।
ভূমিকম্পে মাত্র কিছুদিন আগেও নয়নাভিরাম ছিল যেই নেপাল, সেখানকার আজকের চিত্র অনেকটাই যে অকল্পনীয়- তাই যেন অত্যন্ত প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে এসব ছবিতে।