সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০১ ফেব্রুয়ারী || ২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে পালাবদলের পর ক্ষমতাসীন সরকার মসনদে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরা রাজ্যকে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ডাক দিয়েছিল। কিন্তু এই স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবে রূপ নেবে তা কিন্তু বর্তমান সময়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে শুক্রবার দুই মাতাল মিলে হাসপাতাল চত্বরে বাংলা মদের আসর বসিয়েছিল। এই খবর পেয়ে হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা দুই মাতাল সহ মদের বোতল উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া থানায় খবর পাঠায়। খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঢাল তরোয়াল হীন নিধিরাম সর্দারের মতো হাসপাতালে পৌঁছে দুই মাতাল’কে বগলদাবা করে থানায় পৌঁছায়। এই ঘটনার পরপরই তেলিয়ামুড়া শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে যে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সন্ধ্যা হলেই মাতাল খুঁজতে বের হয় সেই থানা এলাকায় দিন দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে দুই মাতাল প্রবেশ করে কিভাবে মদের আসর বসায়? অনেকে আবার বলাবলি করছে যেদিন থেকে তেলিয়ামুড়া থানার ওসি হিসাবে রাজীব দেবনাথ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এরপর থেকেই আইন কানুন রীতিমতো গোল্লায় গেছে। ওসি সাহেব নিজেকে গেরুয়া বাড়ির মস্ত হনু হিসেবে পরিচয় দিয়ে যতই নিজের সুনাম অর্জন করতে মরিয়া হয়ে উঠুক না কেন রীতিমতো উনার অবস্থা এখন ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননীর মতো। ধরা’কে সরা জ্ঞান করা সর্বজান্তা পণ্ডিত বলে নিজেকে যতই জাহির করতে চাক না কেন আসলে যে তিনি কতটা সুপার ফ্লপ তা উনার থানা এলাকায় কান পাতলেই এখন রীতিমতো আলোচনার হট-টপিক।
তবে শুক্রবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকা যেমন সাধুবাদ কোড়াচ্ছে উল্টো দিকে তেলিয়ামুড়া থানার খাঁকি বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ছিঃ ছিঃ করছে সকলে।