গোপাল সিং, খোয়াই, ১ জুন ।। দীর্ঘ ২১ বছর খোয়াই থানার ম্যাসেঞ্জার পদে যথেষ্ট সুনামের সাথে কাজ করা খোয়াই দূর্গানগর এলাকার বাসিন্দা অনিতা হোজ, ৭০ বছরে পারি জমিয়েছেন। প্রায়দিনই তিনি তার কর্মজীবনে খোয়াই থানার সমস্ত ডাক ও ম্যাসেজ আগরতলা নিয়ে যেতেন। খোয়াই থানার পূর্বতন ওসি অমর দত্ত, মায়াজয় রূপিনী, রাম দুলাল দেববর্মারা মহিলাকে খুব স্নেহ করতেন। স্বচ্ছতার নজীর গড়া ঐ মহিলার সাথে গত ১০ই মে পথ দূর্ঘটনা ঘটে যায়। দূর্গানগর এলাকায় এক সাইকেল আরোহী ইচ্ছেকৃতভাবে চড়াও হয় অনিতা হোজে’র উপর। তাতে তিনি গুরুতর আহত হন। বৃদ্ধা মহিলার পায়ে মারাত্মক জখম রয়েছে। সাইকেল আরোহী সান্টু ঘোষ মহিলার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জায়গায় মহিলাকে গালি-গালাজ করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ অনিতা দেবী’র। তিনি ঘটনা মিডিয়ার বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে খোয়াই থানায় সান্টু ঘোষের নামে লিখিত অভিযোগের কথা মিডিয়াকে অবহিত করেন। কিন্তু খোয়াই থানায় দীর্ঘকাল কাজ করেও বিনিময়ে থানা বাবুদের ভর্ত্তসনার স্বীকার হওয়া অনিতা হোজ জানালেন, অভিযুক্তকে জেরা না করে, উনার বাড়ীতে দু’দুবার ছুটে গেছেন থানা বাবুরা। জিজ্ঞাসাবাদ অভিযুক্তকে করার জায়গায় অনিতা দেবীকে করা হয়েছে। দূর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত পা নিয়েই তিনি খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নিকট ছুটে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হচ্ছেনা দেখে তিনি রবিবার প্রেস ক্লাবে হাজির হন। মিডিয়ার সামনে একরাশ অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ টাকা ছাড়া কোনও কাজ করেনা। তাই খোয়াই থানার পুলিশ প্রকৃত অপরাধীকে পাকড়াও না করে অভিযোগকারীদের উপর চড়াও হয়।’ রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে ২১ বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সাধারন মানুষের জন্য সেবা করা অনিতা হোজ ন্যায্য বিচারের জন্য মিডিয়ার সামনে চোখের জল ফেলতে বাধ্য হলেন। কার জন্য? কে প্রকৃত দোষী? উত্তরটা হয়তো জনতা-জনার্দনের কাছেই আছে। নয়তো আরক্ষা প্রশাসনের কাছে!