আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০১ মার্চ || আগরতলায় কৃষ্ণনগরস্থিত জুনু দাস ভবনে সারা ভারত কৃষক সভার (AIKS) ১৩’তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় অতুলনীয় কুমার অঞ্জন স্মৃতি মঞ্চে। শনিবার এই সম্মেলনের সূচনা হয় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে। এদিন কৃষক সভার পতাকা উত্তোলন করেন AIKS সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাভালু ভেঙ্কাইয়া। তারপর শহীদ বেদিতে মাল্যদান করেন কৃষক সভার অন্যতম জাতীয় সম্পাদক শ্রীকুমার মুখার্জি, AIKS সাধারণ সম্পাদক রাভালু ভেঙ্কাইয়া, সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য আহ্বায়ক রাসবিহারী ঘোষ, সিপিআই রাজ্যপাল সহ-সম্পাদক মিলন বৈদ্য, AITUC নেতা ধনমনী সিনহা, মহিলা ফেডারেশনের রাজ্য সভানেত্রী তুলসী দাস কপালি, গণমুক্তি পরিষদ নেতা রাজেন্দ্র রিয়াং সহ সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিগণ।
তারপর কমরেড অতুল কুমার অঞ্জন স্মৃতি মঞ্চে (জুনু দাস ভবন) রাজেন্দ্র রিয়াং’কে সভাপতি করে সম্মেলনের মূল কর্মসূচি শুরু হয়। সম্মেলনে প্রথমেই শোক প্রস্তাব পাঠ করে প্রয়াত নেতৃবৃন্দ এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
তারপর সম্মেলনে খসড়া সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন AIKS রাজ্য আহ্বায়ক রাসবিহারী ঘোষ। খসড়া প্রতিবেদনের উপর বিভিন্ন বিভাগ থেকে মোট ১৭ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে AIKS সর্বভারতীয় সম্পাদক রাভালু ভেঙ্কাইয়া বলেন যে, মোদী সরকার সারা দেশে কৃষকদের উপর এক ভয়াবহ বিপর্যয় নামিয়ে এনেছে। এর বিরুদ্ধে কৃষক সভা এবং সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্বে যৌথ আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ১৫-১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ তামিলনাডুর নাগাপট্টিনম জেলায় সারা ভারত কৃষক সভার (AIKS) ৩০’তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলন হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক যা সংগঠনের আগামীদিনের আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করবে।
জাতীয় সম্মেলনের আগে সমস্ত রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ত্রিপুরাতেও AIKS ১৩’তম রাজ্য সম্মেলন আগামীদিনে রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের রূপরেখা তৈরী করবে।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে AIKS অন্যতম জাতীয় সম্পাদক শ্রীকুমার মুখার্জি দেশের কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। কৃষক সভাকে আগামী দিনে শক্তিশালী করে রাজ্যে জোরদার আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানান।
সম্মেলন থেকে সারা ভারত কৃষক সভার নতুন রাজ্য পরিষদ গঠন করা হয়। নতুন রাজ্য পরিষদ হয় ১৩ জনের। AIKS নতুন রাজ্য পরিষদের সভাপতি এবং রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে চন্দন গোপাল দেব এবং রাসবিহারী ঘোষ।
রাজ্য পরিষদের নতুন সহ-সভাপতি এবং সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে মনোরঞ্জন ত্রিপুরা এবং প্রদীপ রাজকুমার।