অফিস কর্মীদের দিয়ে দিনমজুরি কাজ করানোর অভিযোগ খোয়াই মৎস দপ্তরের উপর

kfofগোপাল সিং, খোয়াই, ১ জুন ।। খোয়াই মৎস দপ্তরে তুলকালাম! লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে পুরে দপ্তরের নাইট গার্ড এবং অফিস কর্মীদের দিয়ে দিনমজুরি কাজ করানোর অভিযোগ উঠছে মৎস দপ্তরের উপর মহলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যোগ্য কাজে ব্যবহার না করে অফিস কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ কেটে মৎস দপ্তরের অফিসটিলা স্থিত পুকুরের জন্য হানা তৈরীতে।
বর্তমানে মৎস দপ্তরের পুকুর রক্ষার জন্য অফিস-কর্মচারী এবং নাইট গার্ড দিয়ে ব্যস সাধারন শ্রমিকের কাজ করানো হচ্ছে। ছবিতেই চিত্রটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ফুটে উঠছে। মৎস দপ্তরের এধরনের তুঘলকি কান্ডে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে একাংশ কর্মীদের মধ্যে। অফিস থেকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হচ্ছে বাঁশ দিয়ে হানা দেওয়ার জন্য। অথচ এই সব কাজ ওনাদের নয় ঠিকেদারের। দৈনিক মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের দিয়েও এই কাজ করানো যেত। কিন্তু ঠিকাদেরর কাজ করতে হচ্ছে নাইট গার্ড এবং অফিস কর্মীদেরই। বর্তমানে মাছের রেনুর সময়। জনগন টাকা দিয়েও মাছের রেনু পাচ্ছেনা। সময় চলে গেলে কি হবে, এই ভাবনায় দিশেহারা মৎস চাষীরা। বিগত কয়েক বৎসর যাবত খোয়াই মৎস দপ্তর থেকে ভাল রেভিনিউও পাচ্ছেনা মৎস দপ্তর।
তবে যেখানে বাঙালির মাছ-ভাতের স্বপ্ন অটুট রাখতে রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে মৎস চাষে। সেখানে রাজ্য সরকারের কোষাগার খালি করে খোয়াই মৎস দপ্তরে চলছে অনিয়ম, কারচুপি, লক্ষাধিক টাকার কেলেঙ্কারী। অথচ রাজ্যের মৎস দপ্তরের মন্ত্রী রাজ্যকে মাছে স্বয়ম্ভর করার প্রয়াসে অনবরত কাজ করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কাগজে-কলমে কিংবা জনসভায় দেওয়া এই হুংকার বাস্তব রূপ নিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে কে? প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গেলে চাই সঠিক পরিকল্পনা। কিন্তু খোয়াই মৎস দপ্তরে চলছে তুলকালাম। খোয়াই মৎস দপ্তরের অধীন বিশাল বিশাল জলাশয়, অর্থ, কর্মচারী, কোন কিছুরই অভাব নেই। তারপরও কেন মৎস চাষের বিভিন্ন প্রকল্প সফলতার মুখ দেখছেনা, প্রশ্ন জনমনে। দেখা যাচ্ছে একাংশ লোভী কর্মকর্তা রাজ্যের এবং প্রকৃত অর্থে জনগনের মঙ্গল চাননা। উনারা নিজেদের তহবিল বৃদ্ধি করতে ব্যস্ত। আর সে জন্যই বেশিরভাগ পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পাচ্ছেনা। বিগত ১৫ বৎসর যাবত খোয়াই মৎস দপ্তরের কোন পরিকল্পনা সাফল্য পায়নি, এমনটাই দাবী জনসাধারনের। মাছের পোনা কেলেঙ্কারী, মাছ বিক্রি কেলেঙ্কারী, পুকুর খনন থেকে শুকনো মাছ সহ বেনিফিসিয়ারীদের সাহায্য করা নিয়ে সবকিছুতেই লক্ষ লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারীর অভিযোগ তুলছেন জনগন। এমনকি বিগত ১৫ বৎসরের হিসাব-নিকাশ করা গেলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বেনিফিসিয়ারীরা। একজন লোভী কর্মকর্তা লক্ষ-লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে, তারা কখনও উন্নয়নের কান্ডারী হতে পারেন না। তাঁর হাত ধরে বেনিফিসিয়ারীদের কোনও কল্যান হতে পারেনা। এমনটাই ক্ষোভের সুর বেনিফিসিয়ারীদের মধ্যে। তবে কিভাবে রাজ্যকে মৎস চাষের মধ্য দিয়ে স্বয়ম্ভর করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে, প্রশ্ন জনমনে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*