জাতীয় ডেস্ক ।। ঢাকায় পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাত ৮টায় মমতাকে বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার ‘এ আই ২০৩’ নম্বর উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে একদিন আগে ঢাকায় পৌঁছালেন তিনি। মমতার সাথে আছেন আরো পাঁচজন। বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এটি মমতার দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর। দুদিনের সফরে নরেন্দ্র মোদির শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা পৌঁছানোর কথা।
জানা গেছে, ৬ জুন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই ঢাকা সফরের কথা ছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। কিন্তু ৭ জুন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক অনুষ্ঠান থাকায় মমতা একদিন আগেই শুক্রবার রাতে ঢাকা পৌঁছেছেন। মমতা শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শুক্রবার বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি হবে না। আমি ৫ তারিখে যাব। স্থলসীমান্ত চুক্তি হলেই ৬ তারিখে চলে আসব।’
একাধিক কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, নিজের রাজ্যের কৃষকদের কথা ভেবেই তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করে কোনো সমঝোতায় আসতে চাইছেন না মমতা।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় ভারতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, “আমি তিস্তা চুক্তির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে চুক্তি করা উচিৎ না। তিস্তার জলপ্রবাহ খতিয়ে দেখতে কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।”
মমতা আরো বলেন, “অতীতে যে চুক্তিটি তৈরি করা হয়েছিল, তাতে বেশকিছু ত্রুটি আছে। সেগুলো মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছেন। আমি নিজে বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার বক্তব্য জানিয়ে এসেছি। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোনোরকম নেতিবাচক সম্পর্ক নেই। কিন্তু আলাপ-আলোচনা না করে একতরফা কিছু করলে আমরা সেটা কিছুতেই মানতে পারব না। কারণ আমার কাছে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ সবার আগে।”