কৈলাশহরে গড়ে উঠছে আধুনিক অ্যাকুয়াপার্ক, কেন্দ্র দিল ৪২.৫ কোটি টাকা

আপডেট প্রতিনিধি, কৈলাশহর, ১৯ মে || পূর্বোত্তর ভারতে মাছ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ উন্নয়নমন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিংহ (লালন সিংহ) রবিবার কৈলাশহরে একটি সমন্বিত অ্যাকুয়াপার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। এটি প্রধাণমন্ত্রী মাছ সম্পদ যোজনা (PMMSY)-র অধীনে ১১টি অনুমোদিত অ্যাকুয়াপার্কের একটি।
এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ও ত্রিপুরা ফিশ ফেস্টিভালের উদ্বোধনে মন্ত্রী বলেন, অসম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশেও আরও তিনটি অ্যাকুয়াপার্ক তৈরি হবে।
ত্রিপুরার পশুসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান, কৈলাশহরের অ্যাকুয়াপার্ক প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকার ৪২.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এই পার্ক থেকে প্রতিবছর ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় বর্তমানে বার্ষিক চাহিদা ১.১৭ লক্ষ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন মাত্র ৮৫,০০০ মেট্রিক টন, যার ফলে রাজ্যকে অন্যান্য রাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি করতে হয়। এই অ্যাকুয়াপার্কের মাধ্যমে এই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হাব-অ্যান্ড-স্পোক মডেলে নির্মিত এই পার্কে থাকবে হ্যাচারি, ফিড মিল, কোল্ড স্টোরেজ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিপণন সহায়তা। মহিলাদের ও যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান, ত্রিপুরার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিঙ্কু রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন কৃষকদের কৃষক ক্রেডিট কার্ড ও আর্থিক অনুমোদনপত্র দেওয়া হয়। মৎস্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নির্বাচিত কো-অপারেটিভ, FFPO ও স্টার্টআপদের সম্মানিত করা হয়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*