দিল্লিতে ধর্ষিতাদের ‘দুই-আঙুল পরীক্ষা’ বিজ্ঞপ্তি বাতি

dlজাতীয় ডেস্ক ।। ব্যাপক সমালোচনার মুখে সোমবার ধর্ষিতাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিতর্কিত ‘দুই-আঙুল পরীক্ষা’ পদ্ধতির বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছে দিল্লির রাজ্য সরকার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যে কর্মকর্তা বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছিলেন- তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
নারীদের যোনিদেশ পরীক্ষার জন্য সংক্ষেপে পিভি, অর্থাৎ পার ভেজিনাল পরীক্ষা, যা ‘দুই-আঙুল পরীক্ষা’ হিসেবে পরিচিত- সেটি কেবল ধর্ষণের শিকার নারীদের মত থাকলে তবেই করা যাবে এবং এ বিষয়ে দিল্লি সরকার রাজ্যের হাসপাতালগুলোকে অবগত করতে উপদেষ্টা প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
বিশেষজ্ঞ দলের ১৪ পৃষ্ঠার নথিপত্রের আলোকে উপদেষ্টা দলের দাবি- পরীক্ষা পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলে সীমাবদ্ধতার কারণে চিকিৎসকরা কাজই করতে পারবেন না। এই ‘নিষিদ্ধকরণ শুধু যে ওই নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- তাই নয়, এমনকি এর কারণে অবিচারও হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, পিভি পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষিতা নারীর দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি কতোটা, তার ওপর কতোটা চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, স্রাবক্ষরণ এবং সন্দেহভাজন বা ধর্ষকের শারীরবৃত্তিয় নমুনা সংগ্রহের জন্য ওই নারীর যৌনাঙ্গে আঙুল ঢুকিয়ে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা।
এই পদ্ধিতিটির নিষিদ্ধকরণ চেয়ে অনেক আগেই থেকেই নারী অধিকার কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাদের দাবি, ধর্ষিত নারী যৌনসংগমে অভ্যস্ত কিনা- মূলত সেটি বোঝাই এই পরীক্ষার কারণ, যা অন্যায্য, অসঙ্গত এবং অশোভন।
২০১৩ সালের মে মাসে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে বলেছিল যে, এই পরীক্ষা ধর্ষিত নারীর ব্যক্তিস্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং সে সময় আদালতের ওই রায়ে নারীর ওপর যৌন নিগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি বের করার জন্য ভারত সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*