শুভ্র রায়, চুড়াইবাড়ী, ১১ জুন ।। ধর্মনগর মহকুমার বালিছড়া এডিসি ভিলেজের ২নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা ইমলুই মনি হালাম এর ছেলে জয়া হালাম (৫) আজ থেকে প্রায় ৫ বছরআগে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় কিছুদিন চিকিৎসার পর সেখান থেকে রেফার করা হয় আগরতলা জি বি হাসপাতালে কিন্তু সেখানেও বেশী দিন চিকিৎসা হয়নি জয়ার ।
সেখান থেকেরেফার করা হয় দিল্লী কিন্তু জয়ার বাবার সেই সামর্থ্য ছিল না তাই তিনি নিজের সন্তানের জন্য নিজের সকল জায়গা জমি বিক্রি করে দিল্লী নিয়ে যান ছেলে কে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় জয়ার বুকে তিনটি ছিদ্র তারপর জয়াকে সেখানে চিকিৎসা করিয়ে ছিদ্র বন্ধ করে নিয়ে আসেন জয়ার বাবা। ডাক্তারবাবুরা বলে দেন ৬ মাস পর এসে চেকাপকরানোর জন্য। সেই মোতাবেক ৬ মাস পর মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে জয়াকে নিয়ে যান দিল্লী। চেকাপ করার পর দেখা যায় জয়ারভেতরে ভাল্ব এর অবস্থা বেশী ভাল না। ডাক্তারবাবুরা বলেন যে কোন সময় ভাল্ব বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাই পেসমেকার বসাতে হবে তাতে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু সর্বস্বান্ত ইমলুই মনি হালাম কি করবেন ভেবে না পেয়ে ছুটেযান শাসক দলিয় নেতা মন্ত্রীর কাছে তারা বলেনতুমি তো বি পি এল কার্ড হোল্ডার তুমি আগরতলা বি পি এল সেকশনে যাও সেখান থেকে তোমাকে সাহায্য করা হবে। সেই মোতাবেক ইমলুই মনি আগরতলা বি পি এল সেকশনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ছেলের অসুস্থর কথা বলে বি পি এল কার্ড দেখিয়ে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন কিন্তু উনার আবেদনে সাড়া না দিয়ে উনাকে বলা হয় তিনি যদি ছেলে কে নিয়ে কলকাতা যেতেন তাহলে উনাকে সাহায্য করতে পারতেন তারা, তিনি যেহেতু দিল্লী গেছেন তাই তারা কোন সাহায্য করতে পারবেন না। তাই তিনি সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে ত্রিপুরাবাসী তথা দেশবাসীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে উনার সন্তানের জন্য সকলের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন।