জাতীয় ডেস্ক ।। সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে দিল্লির আইনমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ তোমর গ্রেফতারের পর আইনমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর রেশ কাটতে না কাটতে এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক আইপিএল প্রধান ললিত মোদিকে ব্রিটিশ ভিসা পেতে তদবিরের কথা স্বীকার করার একদিন পরই সুষমা স্বরাজের পদত্যাগের দাবি ওঠে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ সোমবার সুষমা স্বরাজের পদত্যাগের দাবি জানান। তিনি বলেন, সুষমার মেয়ে ললিত মোদির আইনজীবী। তিনি ললিতের কাছ থেকে টাকা নেন। এ অবস্থায় সুষমা স্বরাজ ললিত মোদির জন্য ব্রিটিশ সরকারের সাথে তদবির করে অন্যায় করেছেন।
অ্যাডভোকেট ভূষণ বলেন, যেটা তিনি করেছেন, আমার মতে সেটা সম্পূর্ণ অন্যায়। কারণ এতে স্বার্থের সংঘাত ঘটেছে।
কংগ্রেস নেতা পিএল পুনিয়া বলেন, সুষমা স্বরাজ বিষয়টি নিয়ে যে পথ অবলম্বন করেছেন তা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। সুষমার পদত্যাগের দাবিতে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেস। এজন্য বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বেকায়দায় পড়েছেন সুষমা। রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সুষমার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বিজেপির প্রভাবশালী নেতা সুষমাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় তার একটি ইমেইল ফাঁস হয়ে যাওয়ার সূত্র ধরে।
ইমেইলে দেখা যায়, সুষমা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি কিথ বাজ ও ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস বেভানের সাথে লোলিত মোদির ভিসা পাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের মতে, এমপি কিথ বাজ লোলিত মোদিকে ভিসা দিতে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ অভিবাসন কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সুষমার নাম উল্লেখ করেছিলেন। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ভিসা পেয়ে লোলিত মোদি গত বছরের জুনে দেশত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১০ সালে আইপিএল থেকে পদত্যাগ করেন ললিত মোদি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া