দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৮ জুন ।। ভারতবর্ষের একান্ন পীঠের অন্যতম উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির – ঐতিহ্য আর পবিত্রতার নিদর্শন বহন করে চলেছে। জাগ্রত মায়ের দর্শনে ছুটে আসেন দূরদূরান্তের পূন্যার্থীরা। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে বেঁচে আছে বহু মানুষ। মন্দিরের পেছন দিকে কল্যান সাগরের প্রাচীন কচ্ছপ আর নানা জাতের মাছ পূন্যার্থীদের আকর্ষণের উপাদান। কল্যান সাগরের পাড়ে মাছের খাদ্য বিক্রি করেই অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সেখানে “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা ডট কম”-র প্রতিনিধি অনিল দাসের কথা বলেছেন, জানতে চেয়েছেন মাছের খাদ্য বিক্রি করে দিন গুজরানের রোজনামচা। অনিল দাস বলেছেন, আগে কল্যান সাগরের কচ্ছপ আর মাছের খাদ্য হিসেবে মুড়ি বিক্রি প্রাত্যহিক ছিল, এখন প্যাকেট করা খাদ্য বাজারে এসেছে। তিনি বলেছেন মাছের আর কচ্ছপের খাদ্য বিক্রি করেই দুই মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন, সংসারে বর্তমান সদস্য তিনজন। কোনোদিন ৪০০ টাকা আবার কোনোদিন ১০০ টাকার খাদ্য বিক্রি করাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দির নানা দিক থেকে মানুষের আয়ের উৎস সন্দেহ নেই। তবে কল্যান সাগরের মাছ আর কচ্ছপের জীবন দিনে দিনে যে অবস্থার দিকে যাচ্ছে তাতে প্রমাদ গুনছেন অনিল দাসের মতো যারা ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে মাছ কচ্ছপের খাদ্য বিক্রি করে সংসার প্রতিপালন করছেন।