চার মেয়ের চাপে বিপাকে মোদি

4kজাতীয় ডেস্ক ।। চার কন্যান চাপে বিজেপি। ললিত- সুষমা যোগে তোলপাড়। টলমল বসুন্ধরার আসনও। মহারাষ্ট্রে দুর্নীতির ফাঁসে পঙ্কজা মুন্ডে। শংসা গেরোয় স্মৃতি। একের পর এক কেলেঙ্কারিতে বিতর্কে আচ্ছে দিনের সরকার।
চার কন্যার কি সেই বিতর্ক দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।

সুষমা স্বরাজ (কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী) : আইপিএলে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদীকে বিদেশে ভিসা পেতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে সুষা স্বরাজের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একের পর এক নথি সামনে আসার পর সুষমা স্বীকার করে নেনে ললিত মোদীকে তিনি মানবিক কারণে সাহায্য করেছিলেন। কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকা ললিত মোদীকে কেন তিনি সাহায্য করলেন এই প্রশ্নে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিরোধীরা সষমার পদত্যাগের দাবিতে সরব হন।

বসুন্ধরা রাজে (রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী) : ললিত মোদীর অভিবাসন নথিতে সই আছে বসুন্ধরার। বসুন্ধরার ছেলে দুষ্মন্ত সিং ললিত মোদীর কাছ ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা নিয়েছিলেন, সেটাও অনেকটাই প্রমাণ হয়েছে। ললিত যোগে বসুন্ধরা দলকে বেকাদায় ফেলে দিয়েছেন।

পঙ্কজা মুন্ডে (মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী) : নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০৬ কোটি টাকার ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগ ওঠে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডের। সিবিআই তদন্তের দাবি করে কংগ্রেস। অভিযোগ অস্বীকার মন্ত্রীর। প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে তথা মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোনও দরপত্র ছাড়া একই দিনে ২৪টি সংস্থাকে শিশুদের স্কুলের জন্য ২০৬ কোটি টাকার জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

স্মৃতি ইরানি (কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী) : স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে উঠেছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উপর্যুপরি ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগ। আহমের খান নামে এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করেন, ২০০৪-এর রাজ্যসভা এবং ২০১৪-র লোকসভা ভোটের সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পেশ করেছেন স্মৃতি।
আহমেরের দাবি, ২০০৪-এর হলফনামায় স্মৃতি জানান, তিনি বিএ পাস। আবার লোকসভা ভোটের সময় হলফনামায় স্মৃতি লেখেন, তিনি বিকম প্রথমবর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*