গোপাল সিং, খোয়াই, ২ জুলাই ।। খোয়াই থানা বাবুদের ম্যানেজ করে মদ বিক্রেতারা প্রকাশ্যে মদ বিক্রি করছে খোয়াইয়ের ব্যস্ততম সড়ক সংলগ্ন স্থানে। তাই জেলা ও মহকুমা পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে বুধবার সন্ধ্যে থেকেই সুভাষপার্ক মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের ডি. জোনের ব্যবসায়ীরা মদ বিরোধী অভিযানে নামেন। কুড়ি-পঁচশিজন ব্যবসায়ী খোয়াই অফিসটিলা রোডের বিভিন্ন ডিভাইডারের আনাচে-কানাচে তল্লাশী চালিয়ে প্রচুর সংখ্যক দেশী ও বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার করে। ব্যবসায়ীদের তৎপরতা দেখে মদ ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গেই খোয়াই থানায় ও সুভাষপার্ক ফাঁড়িতে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েও ঘটনাস্থলে পৌছে ২ ঘন্টা পর। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ খোয়াই থানার ওসি পৌছেন বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে। তবে পুলিশকে সামনে রেখেই মদ ব্যবসায়ীরা মাসিক উৎকচ দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলতে থাকেন। তারপরও কেন মদ ধরা হলো তা নিয়ে পুলিশ ও মদ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। মদ ব্যবসায়ীরা পুলিশের সামনেই বাজার ব্যবসায়ীদের হম্বি-তম্বি দিতে থাকেন। কিন্তু বাজার ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন যদি তারাই বিপুল পরিমানে মদ ও মদের বোতল উদ্ধার করে থাকেন তবে এতদিন পুলিশ অভিযানের নামে কি করছিল? বুধবার যে পরিমানে মদ উদ্ধার হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশও পুলিশি অভিযানে হাত লাগেনা। এমনটাই অভিযোগ বাজার ব্যবসায়ীদের। এদিন সন্ধ্যায় সুভাষপার্ক মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের ডি. জোনের ব্যবসায়ীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে থানা বাবুদের, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। কি করছেন খোয়াই জেলা পুলিশ সুপার? কি করছে খোয়াই থানা, পুলিশ ফাঁড়ি? শুধু মাত্র মাসোহারা নিয়ে মাসিক ইনকাম বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই করছেনা খোয়াই থানা বাবুরা। অভিযোগ খোয়াইয়ের সকল অংশের জনগনের।