আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষ হিসেবে স্বীকৃত জাপানের সাকারি মোমোই অবশেষে ১১২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন। রোববার রাতে জাপানের রাজধানী টোকিউর সাইতামা এলাকার এক বৃদ্ধ নিবাসে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। কিডনির ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে জানাগিয়েছে। একসময় হাইস্কুলের প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে কাজ করেছেন মোমোই। তিনি পাঁচ ছেলেমেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জাপানের ফুকুশিমায় ১৯০৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মাসে জন্ম নেয়া এই ব্যক্তি। ফুকুশিমা এক শক্তিশালী সুনামি ও পারমাণবিক বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার মাত্র চার বছর আগে যখন মোমোই জন্মগ্রহণ করেন, সে বছরই অরভিল রাইট বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জ্বালানি শক্তির মাধ্যমে ভারী কোনো বিমান আকাশে উড়িয়েছিলেন এবং বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলনা পুতুল টেডি বিয়ারের সাথেও সে বছরই পরিচয় হয়েছিল বিশ্ববাসীর। দীর্ঘ বছর ধরে সাইতামা এলাকাতেই বসবাস করে আসছিলেন তিনি। গতবছর ১১১ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ পুরুষটি মারা যাওয়ার পর ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষ হিসেবে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ড মোমোইকে সবচাইতে বেশি বয়সী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। নিজের দীর্ঘ আয়ুর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুমানোর কথা। দীর্ঘ জীবনে তিনি এই পৃথিবীর কত ঘটনাই না প্রত্যক্ষ করেছেন। জাপানের ভয়াবহ পরমাণু বোমা হামলা, ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আর শতাব্দীর বিধ্বংসী সুনামির সাক্ষী ছিলেন মোমোই। পৃথিবীর প্রতি বড় ভালোবাসা ছি%A