১ সপ্তাহে ৬ দেশ সফর মোদির

mdজাতীয় ডেস্ক ।। এক সপ্তাহে ছয় দেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে রয়েছে মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশ ও রাশিয়া। এদিকে চীনের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোট, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় (এসসিও) যোগ দেবে ভারত ও পাকিস্তান। সোমবার নয়াদিল্লি থেকে এ যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সপ্তাহব্যাপী এ সফরে তিনি মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান সফর করবেন। সফরের মধ্যেই ৯ জুলাই রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচটি দেশের জোট ব্রিকসের সপ্তম সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এর পরের দিন ১০ জুলাই একই দেশে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) আরেক সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদি। সফরের প্রাক্কালে মোদি টুইটারে লিখেছেন, ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশী ভারত। আন্তদেশীয় সম্পর্কে ভারত ব্রিকস ফোরামকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সফরে প্রথমদিনে সোমবার মোদি মধ্য এশিয়ায় দেশ উজবেকিস্তান পৌঁছান। তাসখন্দ বিমানবন্দরে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাভকাত মিরোমনোভিচ মির্জিয়ায়েভ। বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এদিকে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চেং গুপিং জনান, চীনের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোট, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় (এসসিও) যোগ দেবে ভারত ও পাকিস্তান। এ ছাড়া দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার করে। চেং গুপিং জানিয়েছেন, আগামী ৯ ও ১০ জুলাই রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি জোটে যোগ দেবে। বৈঠকে এশীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক জোট হিসেবে এসসিওর নিজস্ব সেনাবাহিনী গড়ার পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চেং গুপিং বলেন, ‘বিশ্বে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে এসসিওর প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো অনেক আঞ্চলিক দেশ এ জোটে যোগ দিতে শুরু করেছে।’ পাকিস্তান ও ভারত এসসিওর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নেও এ জোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০০১ সালে চীনের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক এই নিরাপত্তা জোট গঠন করা হয়েছিল।  এসসিওর বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- চীন, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তান। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে আছে ভারত, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান ও মঙ্গোলিয়া । প্রতিষ্ঠার পর এসসিওর লক্ষ্য ছিল, মধ্য এশিয়ায় কট্টরপন্থী ও ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান মোকাবিলা এবং আফগানিস্তান থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে মাদক পাচার প্রতিরোধ করা। প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম জোটটিতে সদস্য বাড়ানো হচ্ছে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*