গোপাল সিং, খোয়াই, ৮ জুলাই ।। ‘গুজবে কান দেবেন না’ – সংবাদ মাধ্যমে যতই চেঁচিয়ে বেড়ানো হউক সাধারন অসচেতন মানুষ কিন্তু গুজবেই কান দিতে মরিয়া। আর গুজবের হাওয়া বইতে শুরু করেছে খোয়াইয়ের চাম্পাহাওড় এলাকায়। গোপনাঙ্গ ছোট হয়ে যাচ্ছে নয়তো হারিয়ে যাচ্ছে। আর এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে ওঝা বাবাজীর টুটকা, বাড়ীতে মোম-ধূপকাঠি জ্বালাতে হবে। আশ্চর্য্যজনকভাবে গ্রাম-প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচেতন মানুষ হাসপাতালমুখী না হয়ে ভীড় জমাচ্ছেন প্রতারক ওঝা-বৈদ্যের কাছে। ওঝা বাবাজীরা সেই সুযোগে জল পড়া, থাল পড়া, মাটি পড়া দিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সবার মুখে একই গুজব গোপনাঙ্গ ছোট হয়ে যাচ্ছে নয়তো হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ চাম্পাহাওড় ব্লক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন একজনেরও সন্ধান মিলেনি, যিনি এই মানসিক রোগে আক্রান্ত। হ্যাঁ, রোগটা সম্পূর্ন মানসিক। চাম্পাহাওড় এলাকার আশাকর্মী, এমপিডাব্লিউ কর্মীদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারাও বলছেন ঘটনা সত্যি। যদিও স্বাস্থ্য কর্মীরা স্বচক্ষে কিছুই দেখেননি। বিষয়টি নিয়ে খোয়াই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক ড. পি.কে.মজুমদারের সাথে কথা বলে জানা গেল, এধরনের ঘটনা খোয়াই কেন ভূ-ভারতে কখনোও ঘটেনি। তাই যারাই ওঝার বাড়ীতে দৌড়াচ্ছেন তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত। এধরনের মানসিক রোগে আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসক পি.কে. মজুমদার স্পষ্টতই জানান, এধরনের রোগী চটজলদি হাসপাতালে আসুন, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর গোটা বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও, জনসচেতনতা গড়তে এখনোও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি। মঙ্গলবারও চাম্পাহাওড় এলাকার অধিকাংশ বাড়ীতেই এই রোগ মুক্তির জন্য এক যোগে মোম ও ধূপকাঠি জ্বালাতে দেখা গেছে।