গোপাল সিং, খোয়াই, ৮ জুলাই ।। খোয়াই থানা বাবুদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খোয়াই শহরে একের পর এক দু:সাহসিক চুরির ঘটনায় নিশিকুটুম্বরা আপাতত চোর-পুলিশের খেলায় অনেকটাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিদিনই চোর-পুলিশের খেলায় সাধারন মানুষ, বাজার ব্যবসায়ীদের রাতের ঘুম উধাও। খোয়াইয়ের বিভিন্ন এলাকায় সাধারন মানুষ নিজেদের জান ও মালামাল রক্ষার্থে নিজেরাই রাত্রীকালীন প্রহড়া চালু করলেও, খালি হাতে নিধিরাম সর্দ্দার খুব বেশী কি আর কি করতে পারেন? খোয়াই আউটপোষ্টর পুলিশ কর্মীদের সাথে কোন ফারাক নেই সাধারন মানুষের! তবে খোয়াই থানা বাবুদের কিছু করার থাকলেও উনারা ক্ষতির স্বীকার সাধারন মানুষ এবং বাজার ব্যবসায়ীদের উল্টো জ্ঞানের সুরসুরি দিয়ে দায় এড়াচ্ছেন। উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন নিশিকুটুম্বদের দিকে। খোয়াই থানার পুলিশের চ্যালেঞ্জ ছিল, ‘পেছনের দরজা দিয়ে চুরি হলে তা পুলিশ দেখবেনা, কিন্তু যদি সামনে দিয়ে চুরি হয় তবেই পুলিশ এবিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করতে পারে।’ হাস্যকর বিষয় হলো তারপর থেকে যতগুলি চুরি হয়েছে, তার সবক’টাই সামনের দরজা ভেঙেই হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কোন চুরির ঘটনারই কুল-কিনারা করতে পারেনি। খোয়াই থানার উদাসীনতা, আউটপোষ্টের ঢিলেঢালা প্রহড়ার সুযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে খোয়াই জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে নিউ জেলাস কম্পিউটার নামে এক মোবাইল বিক্রেতার দোকানে হানা দিয়ে লক্ষ টাকার দামী মোবাইল চুরি করে নিয়ে পালাল নিশিকুটুম্বরা। দোকান মালিক দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য্ জানান, ‘বুধবার সকালে দোকান খুলতে এসেই তিনি দেখতে পান দোকানের সামনের দরজা ভাঙা। ভেতরে গিয়ে দেখতে পান দোকানের মুল্যবান দামী মোবাইলগুলির প্যাকেট দোকানের ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু তাতে নেই একটিও দামী মোবাইল।’ তিনি সঙ্গে সঙ্গে খোয়াই থানায় খবর দেন। কিন্তু এলাকাবাসী এবং পাশ্ববর্তী দোকানীদের অভিযোগ বর্তমান সময়ে খোয়াই পুর পরিষদ এলাকায় বহু স্থানেই স্ট্রীট লাইট থাকেনা বা জ্বলেনা। তাছাড়া যেখানে জ্বলে, তাও মিটমিট করে। এই আলোতে নিজের হাতই নিজে দেখতে পাওয়া যায়না। এই সুযোগটাই নিচ্ছে নিশিকুটুম্বরা। তাছাড়া খোয়াই থানা বাবুদের উদাসীনতা তো রয়েছেই।