দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ৯ জুলাই ।। ত্রিপুরায় রাজনীতির গতিধারায় প্রতাপগড়, সুরমার নতুন বার্তায় রাজ্য কংগ্রেসের জমি বেদখলের শুরু নিয়ে এমুহূর্তে শেষ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় উপস্থিত হয়েছে কিনা তা নেয়ে দ্বিধায় রাজনীতির বিশেষ মস্তিস্কের মানুষেরা। তবে দুই আসনের ফলাফল সার্বিক ভাবে রাজ্য কংগ্রেসের জন্য যে কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দেশের স্বার্থে, গনতন্ত্র বাঁচানোর নামে বাম কংগ্রেস সম্পর্ক নিয়ে দিল্লী থেকে আগরতলায় মাঝে মাঝে নানা রুপ নিয়েছে প্রত্যক্ষ করেছেন রাজ্যবাসী – নানা জন নানা ভাবে বাম কংগ্রেসের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে রাজ্যে দুই আসনের ভোটের পরবর্তী পরিস্থিতি যে বিপদ সংকেত নিয়ে এসেছে রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মুখে প্রকাশ না করলেও আড়ালে আবজলে এই আলোচনাই হচ্ছে। পায়ের নীচে জমি খসে যাওয়া রুখতে প্রদেশ কংগ্রেসের রিপিয়ারিং পর্ব যে শুরু হয়ে গেছে বৃহস্পতিবারের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের আয়োজন সে দিকে লক্ষ্য রেখেই সন্দেহ নেই।
রাজ্য যুব কংগ্রেসের এই জেগে উঠার কর্মসূচীতে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে যোগ দিতে এসেছেন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দার সিং রাজা ব্রার, উপস্থিত ছিলেন যুব কংগ্রেসের রাজ্যের পদাধিকারীরা। কনভেনশনে যুব কংগ্রেস প্রতিনিধিদের উপস্থিতির সংখ্যা জানান দিয়েছে দম এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আগামীর লড়াইয়ে নতুন উত্থিত পদ্ম আর বাম দুই দলের বিরুদ্ধেই তীব্র লড়াইয়ের বার্তা শোনা গেছে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে যুব কংগ্রেসের যুব প্রতিনিধি কনভেনশনে। কয়েক মাস বাদেই পুর নির্বাচন যে কংগ্রেসের জন্য আরো এক কঠিন যুদ্ধ অপেক্ষা করে আছে – মানছেন দলের ভেতরের ছোট বড় মাপের নেতারা। কংগ্রেসের বিপর্যয়কে স্বীকার করে নিয়ে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন ৬ মাসের ভেতর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে দল, বলেন আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অন্যরা এই ইঙ্গিত কার উদ্দেশ্যে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মানষিক শক্তি ফেরাতে মেন্টরের উপস্থিতিতেই প্রমান যুব কংগ্রেস মরিয়া হারানো মাটি দখলে। দলের বিপর্যয় নিয়ে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে যুব প্রতিনিধি কনভেনশনে দেখা গেছে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরের প্রায় সব চেনা মুখগুলোকে, উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠন। দলের সভাপতি অসুস্থতার জন্য অংশ নেননি বলে জানান কংগ্রেস সূত্রে।