দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১০ জুলাই ।। কান টানলে মাথার মত ব্যবসার সঙ্গে বলা হয় ‘বানিজ্যে বসতি লক্ষী’। বিশ্বায়নের যুগে ‘বানিজ্য’ শব্দটির সংজ্ঞা একেবারে পাল্টে গেছে। একই ধারাবাহিকতায় এই ত্রিপুরাও ভিন রাজ্য আর ভিন দেশী ব্যবসায়ীদের রাজ্যে লগ্নী করার প্রয়াসে পুরোপুরি সফল হয়েছে মোটেও বলা যাচ্ছে না। স্বাধীনতার বহু যুগ পেরিয়ে যে রাজ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম আনতে হয় অন্য দেশ দিয়ে যেখানে শিল্প স্থাপনের প্রশ্ন যে বহু কন্টকিত বলাই বাহুল্য। সেই ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে ব্যবসার বিগ বস টাটা গোষ্ঠীর চ্যায়ারম্যান রতন টাটার রাজ্যে আগমন আর সরকারের সঙ্গে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নয়নের মৌ স্বাক্ষর এ রাজ্যের জন্য অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। রতন টাটা এবং রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী উভয়ের মৌ স্বাক্ষর শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন – প্রথম পর্বের ইতিবাচক ফলশ্রুতিতে সত্যিই যদি টাটার আগমনে রাজ্যে বিশেষ দিক সূচিত হয় এতে উপকৃত হবে ভারতের উত্তর পূর্বের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। রাজ্যের সার্বিক অগ্রগতিতে শান্তি সম্প্রীতি অপরিহার্য ঠিক তেমনি শিল্পের প্রয়াসে টাটার প্রথম পদক্ষ্যেপে অনাকাঙ্ক্ষিত রাকনীতি পুরোপুরি পরিত্যজ্য।