দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ২১ জুলাই ।। শিক্ষকরা শিক্ষাদানেই শিরোনাম হবেন সভ্য সমাজে এটাই কাম্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে ইদানীং রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকতার নামে সংহারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ। অমানবিক ঘটনার পরিনতিতে শিক্ষক কূলের বিরুদ্ধে কোথাও থানায় এজাহার আবার কোথাও জনরোষ শিক্ষাঙ্গনকে কূলষিত করছে। শিক্ষকের স্থান মাতা পিতার সমান কিন্তু স্কুলে ছাত্র প্রহারের ঘটনা যে হারে বাড়ছে তাতে হয়তো আগামীতে প্রশাসনকে আইন চালু করে ছাত্র নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।
ধলেশ্বরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ স্কুলে জনৈক শিক্ষক শিবাজী দেববর্মা নবম শ্রেনী ‘খ’ শাখার ৩০ জন মেয়ে আর ২২ জন পড়ুয়াকে যে কায়দায় শাসন করেছেন তালিবানি শাস্তির সমতুল্য। অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে লঘু পাপে গুরুদন্ডের এই বীভৎস ঘটনায় অনেকেরই ক্ষতচিহ্ন নিশ্চিহ্ন হতে সময় লাগবে। ধলেশ্বরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ স্কুলের শিক্ষক শিবাজী দেববর্মা গোটা রাজ্যের শিক্ষক সমাজের কাছে ভিলেন রুপেই বিবেচিত হওয়া উচিৎ। ছাত্র নিগ্রহের জঘন্য ঘটনায় অভিভাবক সমাজ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দিষ্ট সময় স্থির করে দিয়েছিলেন। শিবাজী দেববর্মার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা ডট কম” কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন অভিযুক্ত শিবাজী দেববর্মাকে ঘটনার জন্য শো কজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। ধলেশ্বরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ স্কুলের ইতিহাসে এই জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিষ্ট্রিক্ট এডুকেশন আধিকারীককেও জানানো হয়েছে। শিক্ষক সমাজ হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর, শিবাজী দেববর্মার মত শিক্ষকদের কল্যানে শিক্ষক কূলের সন্মান শ্রদ্ধা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অভিভাবক মহল শিবাজী দেববর্মার ঘটনার পরিনতির অপেক্ষায় রয়েছেন।