মেলাঘর, ০৯ সেপ্টেম্বর ।। গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে নীরমহলের ওপর আর কোনও পর্যটন কেন্দ্র নেই৷ নীরমহলকে আকর্ষণীয় রাখতে হলে রুদ্রসাগরের চারদিকে রিং-রোড অতি আবশ্যক৷ কিছু মানুষ তা তৈরির ক্ষেত্রে মাঝে মাঝেই সমস্যা সৃষ্টি করছেন৷ তাঁদের প্রতি আবেদন, নীরমহল ও রুদ্রসাগর বাঁচলে, উন্নয়ন হলে আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন আপনারাই৷ রুদ্রসাগরের রিং-রোড তৈরির ক্ষেত্রে বাধাদানকারীদের প্রতি এই আবেদন রাখলেন পর্যটনমন্ত্রী রতন ভৌমিক৷ রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে পর্যটনকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ একসময় রাজ্যে উগ্রপম্হী সমস্যার জন্য পর্যটন শিল্প ব্যাহত হয়েছিল৷ প্রকৃতির সুষমায় গোটা ত্রিপুরাটাই একটা পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে৷ তাই প্রকৃতিকে ব্যবহার করে রাজ্যে ইকো-ট্যুরিজম গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে৷ আর তা যে সম্ভব, তা স্বীকার করেছে কিছুদিন আগে রাজ্যের পর্যটন সম্ভাবনা দেখতে আসা একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷ পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার৷ জম্পুই হিলের ভাংমুনে গড়া হচ্ছে নতুন ট্যুরিস্ট লজ৷ ডম্বুরেও ট্যুরিস্ট লজ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে৷ মন্ত্রী জানান, নীরমহলকে কেন্দ্র করে ৫৪ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে নীরমহলকে ভূমিকম্প-নিরোধক করার কাজ৷ ধাপে ধাপে তৈরি করা হবে রিং-রোড. একটা অংশে রিং-রোড তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ পার্শ্ববর্তী নলছড়ের কাচিরগাঙের পলি মিশ্রিত জল এসে দিনের পর দিন কমিয়ে দিচ্ছে রুদ্রসাগরের নাব্যতা৷ এই জল যেন রুদ্রসাগরে ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্হাও করা হচ্ছে৷ দু’পাড় বেঁধে গোমতীতে নিয়ে ফেলা হবে কাচিরগাঙের জল৷ তার জন্য ১৫ কোটি টাকার টেন্ডারও হয়ে গেছে৷