দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২৯ জুলাই ।। রাজ্য প্রশাসনের তরফে চারখানি নতুন সামাজিক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যে কর্মরত প্রায় ২০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকারা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশী হন নি। বিভিন্ন স্থানে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকারা জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারী সিদ্ধান্তে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীরা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা ও সহায়িকারা প্রতি মাসে ৩৫০ টাকা করে পেনশন পাবেন। ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহনের সময় অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকাদের পেনশন যথাক্রমে ৫০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে যদি পেনশন না তোলা হয়। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা” –এর প্রতিনিধিকে বলেছেন সহায়িকা আর পরিচারিকার কাজ কি সমগোত্রীয়? এছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ীর কাজে যুক্তদের নিযুক্তিতে যেখানে অবসরের বয়সের উল্লেখ নেই সেখানে ৬০ বছর বাদে অবসরের সিদ্ধান্ত গ্রহনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। CITU সংগঠনভুক্ত অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকারা বলেছেন, শ্রমিকের যতদিন গতরে শক্তি ততদিন শ্রমদানেই জীবিকা নির্বাহ – সেখানে সরকার কৌশলে ৬০ বছর বেঁধে দিয়ে বিদায়ের রাস্তা বের করেছে। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকারা বলেছেন, CITU নেতৃবৃন্দ এই ব্যাপারে সহসা উদ্যোগ নিয়ে পেনশন সহ অবসরের বয়ঃসীমা নির্ধারণের প্রশ্নে যথাযথ ভূমিকা নেবে, অন্যথায় অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকারা পথ অবরোধ থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যান্য রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকাদের অবসরের বয়স নির্দিষ্ট নেই। অঙ্গনওয়াড়ীর সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা বলেছেন, এক অর্থে প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রী যেমন কাজের জন্য অনারিয়াম পাচ্ছেন সেবার জন্য তেমনি ১৯৭৪ সাল থেকে রাজ্যে চালু হওয়া এই প্রকল্পে সেরকম অনারিয়াম ভাতাই পাচ্ছেন, মন্ত্রীদের যেখানে অবসরের বয়স নেই অঙ্গনওয়াড়ীর সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও সহায়িকাদের কেন বয়সের বেড়াজালে বিদায়ের রাস্তা খোলা হয়েছে। নূন আনতে পান্তা ফুরোয় অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের স্থায়ীকরনের চিন্তাভাবনার পরিবর্তে ড়িউটির সময় বৃদ্ধি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন অনেকে।