আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। গরমের যেন নতুন সংজ্ঞা তৈরি হল ইরানে। গরমকালে বাংলাদেশের বহু এলাকায় তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেই খবরের শিরোনামে আসে মৃত্যুর খবর। ২০১৪ সালের ২৪ই এপ্রিল গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি এতেই বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গলদঘর্ম দশায় ত্রাতা হিসেবে একটু বৃষ্টিই তখন অমৃতের সমান। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ সূচকে সর্বকালের রেকর্ড তৈরি হল ইরানে। ইরানের বর্তমান তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, অস্বস্তি সূচকে ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নাভিশ্বাস উঠছে গোটা ইরানে। মধ্যপ্রাচ্যের ভৌগলিক অবস্থানে তাপগম্বুজে পরিণত হয়েছে ইরান। অর্থাত্ চারিদিক থেকে তাপ বিকিরণ হয়ে ইরানে জমাট বেঁধেছে। ফলে চূড়ান্ত তাপপ্রবাহে দগ্ধ ইরানবাসী। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিনে সপ্তাহ হচ্ছে ইরানে। সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে, সপ্তাহে ৪ দিন স্কুল, কলেজ, অফিস সব বন্ধ থাকবে। কাজের দিন ধার্য করা হয়েছে তিনদিন। অ্যাকিউ ওয়েদারের আবহাওয়াবিদ অ্যান্টনি সাগলিয়ানির কথায়, ‘আমার দীর্ঘ পেশার জীবনে এত তাপমাত্রা দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি। বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটাই।’ ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের বন্দর ই মাহশাহর ইরানের সবচেয়ে জনবহুল ও অন্যতম প্রধান শহর। লোকসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। বন্দর-ই মাহশাহরের বাসিন্দারা খুব প্রয়োজন না-হলে বাড়ির বাইরে বাহির হওয়ার কথা ভাবতেও পচন্দ করেন না। বৃহস্পতিবারই তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। শুক্রবার তা আরও ৪ ডিগ্রি বেড়ে যায়। এত তাপমাত্রায় কাজ করছে না এসি মেশিনও। মধ্যপ্রাচ্যের তাপগম্বুজের প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরাকেও। প্রচণ্ড গরমে সে দেশেও ৭ দিনের বদলে তিন দিনে সপ্তাহ ঘোষণা করেছে সরকার।