দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৪ আগষ্ট ।। যাঁর শানিত কলমে পূর্ণিমার নির্মল চাঁদের ব্যাখা হয়েছিল ‘ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’ – তিনিই ছিলেন কবি সুকান্ত ভট্যাচার্য্য। দেশাত্মবোধ, সাম্য আর স্বাধীনতার প্রশ্নে যাঁর লেখনীতে বার বার উঠে এসেছেন সমাজের আর্ত পীড়িত মানুষদের অব্যক্ত যন্ত্রনার কথা। ‘ছাড়পত্রে কবি সুকান্ত লিখেছিলেন শ্রমিকের কথা, পৃথিবীতে জন্ম নেয়া শিশুর ভার নিতে হবে ধরনীকে, বাঁচার পথ করে দিতে হবে আমাদেরই –সেই সূত্রেই চাঁদের স্নিগ্ধতাকে ঝলসানো রুটির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। মাত্র ২১ বছরের জীবনে কবি সুকান্তের হাতে সব লেখনীতেই ছিল মানুষের কথা, স্বাধীনতার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। মানুষের কবি সুকান্ত ভট্যাচার্য্যের জন্মজয়ন্তীতে রাজ্যে সরকারী বেসরকারী স্তরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সুকান্ত ভট্যাচার্য্যের জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সুকান্ত ভট্যাচার্য্যের একক সংগীত, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য এবং সমবেত আবৃতি হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা, দপ্তরের সচিব শান্তনু দাশ সহ আন্যান্যরা।